বাংলাদেশের শিশু অধিকার ও পরিস্থিতি আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। অর্থাৎ আজকে যে শিশু আগামী দিনে সে একটি দেশের তথা জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শিশুদের উন্নয়নে সরকার অনেক আইন প্রনয়ন করেছে। পাশাপাশি অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মহৎ প্রাণ লোক শিশুদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্ত বাংলাদেশের শিশুরা সরকারী পৃষ্টপোষকাতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত অবহেলার স্বীকার হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের শিশুরা দারিদ্রতার কারণে মৌল মানবিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দরিদ্র পিতা দারিদ্রতা ও অপরিকল্পিত ভাবে পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তার ছোট্র শিশুটিকে অন্যের কাজ করতে বাধ্য করছে। যে বয়সে তার হাতে থাকার কথা ছিল কাগজ কলম বই। সে বয়সে তার হাতে শোভা পাচ্ছে লাঙ্গল, কাঁচি,কোদাল। অনেক শিশু আবার জীবিকার তাগিদে চলে যাচ্ছে শহরে। শহরের শিশুদের অবস্থা গ্রামের শিশুদের শিশুরা আয়েশী জীবন যাপন করছে কিন্তু যখন বস্তির শিশুদের দিকে লক্ষ করা যায়। বস্তির শিশুরা সুষম ও পুষ্টিকর খাবার থেকে তো বঞ্চিত হচ্ছেই বেঁচে থাকার জন্য দু’মুটো ভাতের জন্য তাদের অল্প বয়সেই নেমে পড়তে হচ্ছে জীবিকার তাগিদে। ফলে শিশুরা কলকারখানা বিভিন্ন ঝুকির্পূণ কাজ করছে। বিভিন্ন রকম দুর্গঠনার কারনে তাদের অঙ্গ হানি হচ্ছে। অনেক সময় অকালে ঝড়ে পড়ে অনেক তাজা প্রাণ।
বতর্মান সময়ে মেয়ে শিশুদের অবস্থা আরো বেশী ভয়াবহ। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় গৃহকর্তী কতৃক অত্যাচারে গৃহকর্মী খুন। অনেক সময় গৃহকর্মীদেরকে গরম গুন্তির ছেকা দেওয়া হয়। এসব গৃহকর্মীদের মধ্য বেশীর ভাগ হল শিশু।তাছাড়া বতর্মান বাংলাদেশে শিশু ধষণ একটা সাধারণ ব্যপার হয়ে গেছে। বাংলাদেশে শহরে ও গ্রামে প্রতিনিয়ত শিশুরা ধষর্ণের স্বীকার হচ্ছে। তাছাড়া শিশু পাচার বাংলাদেশের একটি বাংলাদেশের একটি উল্লেখ যোগ্য গঠনা। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোতে শিশু পাচার করা হচ্ছে । এসব শিশুদের অনেক ঝুকির্পূণ কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাংরাদেশের আথর্সামাজিক ও পারিপার্শিক অবস্থার কারণে শিশুরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়িছে। মাদকাসক্তির ফলে তাদের চারিত্রিক, মানসিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে। নেশার টাকা সংগ্রহ করতে না পেয়ে তারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। আর এমনি ভাবে যে শিশু আগামী দিনের সুন্দর ভব্যিষৎ হবে সেই শিশুই ভবিষৎ নষ্ট করছে। কিন্তু বাংলাদেশের শিশুদের আজ কেন এই পরিনতি কেন তারা কলমের পরিবর্তে হাতে অস্ত্র তোলে নিচ্ছে। যে সময় তাদের মায়ের কোলে শুয়ে ঠাকুরমার ঝুলি শোনার কথা সেই সময় কেন তাদের ফুটপাতে রাত কাটাতে হচ্ছে। এজন্য কে দায়ী? হ্যাঁ এই জন্য দায়ী বাংলাদেশের র্দুবল প্রশাসন।
বাংলাদেশ সরকার শিশুদের জন্য আইন প্রনয়ন করেছে শিশুদের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্ধ করছে কিন্তু সেই আইন ও অর্থ যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। আর তাই প্রশাসনের উচিত এই সমস্থ সুষ্ঠ তদারকির ব্যবস্থা করা। যারা শিশুদের অত্যাচার করছে নির্যাতন করছে তাদের দলমত নির্বিশেষে শাস্তির ব্যবস্থা করা। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। প্রতিটি শিশুর অধিকার আছে তার মৌলিমানবিক চাহিদা ভোগ করার। আর শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবচেয়ে বেশী বেশী উদ্যোগী হতে হবে সাধারন জনগনকে এবং তার পরিবারকে অধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর তাই আগামীতে উন্নত সম্মৃদ্ধ ও সুখী বাংলাদেশ গড়ে তোলতে হলে বতর্মানের যে শিশু আছে তাদেরকে উন্নত করে গড়ে তোলতে হবে। কারণ অশিক্ষিত, দুর্বল, মাদকাসক্ত,পুষ্টিহীন শিশুদের নিয়ে আগামী দিনে সুখি ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। তাই শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের মহৎ প্রাণ ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে।
ছবিঃ save the children
এম এইচ শরিফ ফকির