প্রিয়তা!
ভোরের মিষ্টি রোদের মতোই তোমার শুরু, তোমায় নিয়ে আমার কল্পনার শুরু৷ ডাগর চোখ, জোড়া ভ্রু আর ছেড়ে দেয়া চুল৷ বড় ফ্রেমের গোল গোল চশমা, বিস্তৃত হাসিতে নজরকাড়া টোল আর চেহারায় লেপ্টে থাকা লাবণ্যতা৷ দিনে দিনে কল্পনা গভীর হলো৷ সূর্যের তীব্রতার মতো৷ হাতে হাত৷ আঙুলে আঙুল৷ গোধূলিতে পাশাপাশি আকাশ দেখা৷ আঙুলে আঙুল ঠেকিয়ে বলি, মন খারাপ৷ অবাক হয়ে বলো, ওমা! তা কেনো? আমার হাতটা আরেকটু শক্ত করে ধরে বলো, কি হয়েছে? কল্পনায় তোমায় আরো কাছে টানলাম৷ জড়িয়ে নিলাম নিজের ভেতর৷ বুকের সাথে বুক৷ ঠোঁটের উপর ঠোঁট৷ তুমি মিশে গেলে আমাতে৷ যেনো রক্ত মাংসের বন্ধন৷
সূর্য মাথার উপর৷ আকাশ নীল হচ্ছে৷ নীলের চূড়ান্ত হচ্ছে৷ তুমি কল্পনাতেই৷ বস্তবতায় তোমায় খোঁজে বেড়াই৷ তুমি দেখা দাও না৷ হঠাৎ একদিন মনে হলো, যার অস্তিত্ব নেই, তাকে নিয়ে আবার কল্পনা কিসের! যে আমায় দেখা দেয় না, তাকে ভাববো কেনো? অদৃশ্য অভিমান বসা বাঁধলো মনে৷ স্বার্থপরের মতো তালাবদ্ধ করলাম কল্পনার কপাট৷ তালাবদ্ধ হলে তুমি৷ তোমার ভাবনা৷ তোমায় আর ভাবি না৷ প্রতিজ্ঞা করলাম, আর ভাববো না৷ অভিমানে ছেয়ে গেলো সব৷
তুমি নেই৷ প্রেম নেই৷ একাকী জীবনে বিষাদের ছাপ লাগতে শুরু করলো৷ অপঠিত বইয়ের উপর পড়ে থাকা ধূলোর প্রলেপ যেনো৷ বিষাদের রঙ হলো গাঢ়৷ আকাশের গায়ে নীলের মতো৷ আচ্ছা, বিষাদের রঙ নীল কেনো?
সূর্য পশ্চিম আকাশে৷ ডুবছে৷ অন্ধকার হচ্ছে পৃথিবী৷ সূর্য ডুবার সাথে সাথে ডুবে যাচ্ছ তুমি৷ হারিয়ে যাচ্ছে তোমার ভাবনা৷ আমার কাছে কিছুই রইলো না! গোধূলির বিষণ্নতা ভর করলো আমার উপর৷ আমি হলাম বিষণ্ন মানব৷
বিষাদ গায়ে মেখে ঘুরঘুর করা এক বিষাদপ্রেমিক আমি৷ বিষণ্ন মানব৷ তোমার কল্পনা হারিয়ে ফেলা এক ব্যার্থ প্রেমিক৷
কল্পনারা মরতে বসেছে, কোথায় তুমি প্রিয়তা?
-তোমার প্রিয়াত্মা
19-3-18