ফিদা আল মুগনী
ধরুন আপনার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে, বেশ দরকারি জিনিস। হটাৎ দেবদুতের মতন কেউ মুঠোফোনে জানালো, আপনার জিনিস আমাদের কাছে, মোটা পুরুষালি গলা, কিন্তু কথার ভঙ্গি আলাদা। আপনি নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আপনার আইডিকার্ড ফেরত পেলেন, সংঙ্গে মনটাও অজানা ভালোলাগায় পূর্ণ হয়ে গেল। আপনার আইডি কার্ড পেয়েছেন একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, যাকে সাধারণ ভাষায় আমরা হিজড়া বলে থাকি। আসলে তৃতীয় লিঙ্গ বা তথাকথিত হিজড়াদের প্রতি সমাজে বেশিরভাগ মানুষই অন্যরকম ধারণা পোষণ করে, ভয় অথবা ঘৃনা। কিন্তু একটা কথা কিন্তু ভেবে দেখা দরকার যে অস্বাভাবিক এই শারীরিক অবস্থার জন্য।
কিন্তু তাঁরা সত্যিই দায়ী না। আপনার কিংবা আমার ওই দৃষ্টির জন্যই তাকে অনৈতিক পন্থায় অর্থপার্জন করতে হয়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ তৃতীয় লিঙ্গকে হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।২০১৪ সাল থেকে তাই বেশ কিছু হিজড়া সরকারি চাকুরীর আবেদন করে থাকে, কিন্তু শুনতে খারাপ লাগলেও সেখানেও তারা হয়রানির স্বীকার হন। বেশির ভাগ হিজড়াই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা যৌনকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে।কিন্তু নিশ্চই যদি সমাজ তাদের স্বীকৃতি দিত এ ধরণের কাজে তাদের যুক্ত হয়ে সমাজের নিচুস্তরে বসবাস করা লাগত না। হিজড়াদের নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা চালু আছে সমাজে।(চলবে)