তারকা জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তাদের সম্প্রতি কার্যকর হল বিবাহবিচ্ছেদ। এই বিচ্ছেদের কারণ বিপাক পড়েছেন অনেক প্রযোজক ও পরিচালক। তাদের নিয়া সিনেমাগুলো অর্ধসমাপ্ত হয়ে আছে। কোন ছবিই আর করা সম্ভব হচ্ছে না শাকিব-অপুর এই বিচ্ছেদের কারণে।
যেহেতু পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দিয়েছেন, তাই বিশাল অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন এসব ছবির প্রযোজকরা। আর এ কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তা করছেন অনেকে।
‘মাই ডার্লিং’ ছবির প্রযোজক জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষা করছি ছবিটি শেষ করার জন্য। ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ করার পর হঠাৎ অপু বিশ্বাস হারিয়ে গেলেন, তারপর কিছুতেই উনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আবার বছরখানেক পর ফিরে এলেন বাচ্চাসহ। তারপর দেখি, শাকিব খান আর অপু বিশ্বাস একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না।
এই ছবির জন্য এরই মধ্যে প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ করেছি, যদি ছবিটি শেষ করতে না পারি, তবে পুরো টাকাটাই লস হিসেবে গণ্য করতে হবে। এটা প্রযোজক হিসেবে আমরা মেনে নেব না, এরই মধ্যে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী দুদিনের মধ্যে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করব।’
‘মা’ ছবির পরিচালক কালাম কায়সার বলেন, ‘আমরা ছবির শুটিং শুরু করার কিছুদিন পরই দেখি অপু বিশ্বাস নিখোঁজ। তারপর তো আর শুটিং করতে পারিনি। এখন যা অবস্থা, তাতে এতটুকু বুঝতে পারছি, উনারা আর একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন না। আমরা কাজ বন্ধ করে বসে আছি। আমার প্রযোজক এরপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি আর ছবি বানাবেন না, এরই মধ্যে কয়েকজন প্রযোজক মিলে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
গত বছর শুরুরদিকে ঢাকাই ছবির নতুন নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে শাকিব ঘরোয়া পরিবেশে একটি ছবি তোলেন। ছবিটিতে ‘ফ্যামিলি টাইম’ ক্যাপশন লিখে নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করেন বুবলী। এরপরই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে শাকিব খানের। ছবিটি প্রকাশের পর গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন গোপনে থাকা বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি খোলাসা করেন অপু। তখন থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যা পরে বিচ্ছেদে গড়ায়।