ফেসবুক মেসেঞ্জারে কুরুচিপূর্ণ বার্তা দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা তরুণী ও তার বান্ধবীর সঙ্গে সমঝোতায় এসেছেন নাট্যনির্মাতা গাজী রাকায়েত। উভয়পক্ষের করা মামলাও তুলে নেওয়ার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। সোমবার তারা মামলার তদন্ত সংস্থার কাছে এ সংক্রান্ত লিখিতও দিয়েছেন।
এদিকে তদন্ত সংস্থা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, গাজী রাকায়েতের ফেসবুক আইডি থেকে তরুণীকে কুরুচিপূর্ণ বার্তা দেওয়ার সময় আইডি তার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এটি অন্য কেউ করেছে। ঘটনায় জড়িত মূল হোতাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
একজন তরুণী গাজী রাকায়েতের ফেসবুক মেসেঞ্জারের কথোপকথনের স্ক্রিনশর্ট দিয়ে ওই আপত্তিকর মন্তব্যটি নিজের ফেসবুকে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, গাজী রাকায়েত তার বান্ধবীকে কুরুচিপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছেন। অবশ্য ওই মন্তব্যটি নিজের নয় বলে গাজী রাকায়েত গত ১৬ মার্চ মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় মেসেঞ্জারে বার্তা পাওয়া তরুণী গত ২২ মার্চ শ্যামপুর থানায় গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।
মামলা দুটির তদন্ত সংস্থা সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি নাজমুল ইসলাম সমকালকে বলেন, উভয়পক্ষ মামলা মীমাংসা করতে চাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে দেখা গেছে, গাজী রাকায়েতের ফেসবুক আইডি ওই সময় সিঙ্গাপুর থেকে চালানো হচ্ছিল। সিঙ্গাপুর পুলিশ ও ইন্টারপোলের সহায়তায় সেখানকার অপরাধীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।