মোঃজুলকার নাইন মাহফুজ
পরিশ্রম,মেধা আর আত্মবিশ্বাস মানুষকে বহু উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে । নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের সোনালি সিংহাসনে । যার অন্যতম উদাহরণ ‘কিং অব রোমান্স’ খ্যাত শাহরুখ খান । জীবনের প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে যিনি আজ জায়গা করে নিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে ।
চলচ্চিত্রের প্রতি ভালবাসা,নায়ক হও্য়ার তীব্র তাড়নায় মুম্বাইয়ে এসেছিলেন দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে ।মুম্বাইয়ের জুবিলী সিনেমা হলের সামনে বসে থাকা ছেলেটা স্বপ্ন দেখত নায়ক হওয়ার । কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার যে বিস্তর ফারাক তা টের পাননি! পকেটে ছিল সামান্য কিছু রূপি । কিন্তু ওই যে বললাম,মেধা,পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস আপনাকে নিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে । শাহরুখ খানও নিজের স্বপ্নকে বিফলে যেতে দেননি । কোথাও থাকার জায়গা না পেয়ে মুম্বাইয়ের বেঞ্চে ঘুমানো ছেলেটার আজ ৬০০ মিলিয়নের বেশি ব্যাংক ব্যালেন্স!
‘ডার’ এবং ‘বাজিগর’ ছবির ভিলেন চরিত্র দিয়ে শুরু… সেখান থেকে ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির ‘রাজ’ এর মতো রোমান্টিক চরিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। মুম্বাই এর মারাঠা মন্দির থিয়েটারে মুক্তির পর থেকে ২০১৫ পর্যন্ত টানা ২০ বছর চলেছে এই মুভি।
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ মুভিতে মোটর সাইকেল থামিয়ে সানগ্লাস নামিয়ে দেখা.. ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ মুভির ওপেনিং এ রানীর সাথে প্রথম দৃশ্যটা, ‘সুরাজ হুয়া মাধ্যম’ গানে হাত ছড়িয়ে দাঁড়ানো, ‘ভীর জারা’র কোর্টে দাঁড়িয়ে কয়েদি নাম্বার ৭৮৬ এর চিঠিটা পড়া, ‘চালতে চালতে’তে রানীর বাড়ির সামনে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা… ‘চাক দে ইন্ডিয়া’র সত্তুর মিনিটের স্পিচ, ‘কাল হো না হো’র প্রীতিকে সাদা ডায়েরী পড়ে শোনানোর দৃশ্য, ‘রাব নে বানা দি জোড়ি’র প্যান্ট টেনে কোমর থেকে নীচে নামিয়ে রাজ এর এন্ট্রি, ‘দেবদাস’ এর শেষ দৃশ্যে পারুর মহলের দরজার দিকে তাকিয়ে থাকা, ‘বাজিগার’ এর “কাভি কাভি কুচ জিতনে কে লিয়ে কুচ হারনা ভি পারতা হ্যায়… অর হার কার জিতনে ওয়ালে কো বাজিগার কেহতে হ্যায়” এসব দৃশ্য কেউ কি কখনো ভুলতে পারবে ?
আজকেও নিজ আবাস মান্নাতের সামনে ভিড় জমাবে লাখো ভক্ত । ভালবাসায় সিক্ত হবে কোটি মানুষের ।
কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ঢেউ খেলানো শাহরুখ বেঁচে থাকুক অনন্তকাল ।
শুভ জন্মদিন কিং খান ।