কিঙ্কর আহসান সবার কাছে তার লেখা দ্বারা পরিচিত লাভ করেন। দেশের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখির শুরু তার। বাংলানিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, পরিবর্তন,কালের কণ্ঠ সহ দেশের প্রায় সব শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে লিখেছেন ছোটগল্প। কালের কণ্ঠের ‘বাতিঘর’ পাতায় শিক্ষানবিস সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। লেখালেখির পাশে হাত পাকিয়েছেন ফিল্মেও ‘পাতার নৌকা’, ‘ক্রিং ক্রিং’ ও ‘জলপরানি’ টেলিফিল্মের কাজ করে হয়েছেন প্রশংসিত। ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ টিভি শো’র সহকারী স্ক্রিপ্ট রাইটারের কাজ করেছেন তিনি। মার্কস অলরাউন্ডার, হাসতে মানা অনুষ্ঠানের প্রধাণ স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে ছিলেন তিনি। অমর একুশে বইমেলা ২০১৯ এ আসছে তার লেখা উপন্যাস বিবিয়ানা। বিবিয়ানা উপন্যাস সহ আরো জানা-অজনা বিষয় নিয়ে কথোপকথন তার সাথে…..
সীমান্তঃ এবারের বই মেলায় কয়টা বই আসছে আপনার?
কিঙ্কর আহসানঃ এবারের বইমেলায় আমার একটাই বই থাকবে। বইটির নাম ‘বিবিয়ানা’। অন্বেষা প্রকাশন থেকে বইমেলা ২০১৯ এ আসবে এই উপন্যাসটি।
সীমান্তঃ ‘বিবিয়ানা’ বইটা নিয়ে কিছু বলুন?
কিঙ্কর আহসানঃ ‘বিবিয়ানা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিলাসি বিবিদের জীবন! এই আধুনিক সময়ে জীবন যাপন থেকে হারিয়েছে আন্তরিকতা, শ্রদ্ধাবোধ। সবকিছুই এখন কেমন লোক দেখানো। শো অফ! সম্পর্কগুলো জটিল। জীবনের এইসব জটিলতা, আনন্দ-বেদনা নিয়েই ‘বিবিয়ানা’র গল্প। ভুটান, থাইল্যান্ড, ঢাকা আর বাংলাদেশের এক ছোট্ট গ্রামকে জড়িয়ে এগিয়েছে এই উপন্যাসের গল্পটা।
সীমান্তঃ এখন পর্যন্ত আপনার প্রকাশিত বইগুলো কি কি?
কিঙ্কর আহসানঃ আমার ১১ টি প্রকাশিত হয়েছে। আঙ্গারধানি, রঙিলা কিতাব, মকবরা, মধ্যবিত্ত, রাজতন্ত্র, মখমলি মাফলার, বিবিয়ানা এই সাতটি উপন্যাস আর কাঠের শরীর, স্বর্ণভূমি, আলাদিন জিন্দাবাদ, কিস্সাপূরণ এই চারটি গল্পগ্রন্থ।
সীমান্তঃ বই মেলা কি বিবিয়ানা ছাড়া আর কোনো নতুন বই আসার সম্ভাবনা আছে?
কিঙ্কর আহসানঃ এই বইমেলায় আমার একটাই বই থাকবে। অন্বেষা প্রকাশন থেকে ‘বিবিয়ানা’ উপন্যাস।
সীমান্তঃ লেখক হিসেবে নিজেকে একদিন কোথায় দেখতে চান?
কিঙ্কর আহসানঃ এমন কিছু লিখে যেতে চাই যা আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনার মতোন একটা ভালো লাগার অনুভূতির নাম হোক কিঙ্কর আহ্সানের লেখাগুলো এটা খুব করে চাই।
সীমান্তঃ আপনি জনপ্রিয় অনেক মিডিয়াতে কাজ করেছেন এর মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা ছিলো কোথায় এবং কেনো?
কিঙ্কর আহসানঃ আমি বিজ্ঞাপনের কাজ করে আনন্দ পাই। এখানে নিজের মতোন করে গল্প বলার সুযোগ আছে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেনঃ গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত