শিবলুল হক শোভন
প্রশাসক,সিনেমাদক ফেসবুকগ্রুপ
সবে মাত্র ৪৩’র মহামারী দূর্ভিক্ষ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। ভারত পাকিস্তান প্রায় বিভক্তের দিকে। এই দূর্ভিক্ষের মহামারীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।শুধু যারা শহরের লঙরখানায় পাত পেতে বাচতে পেরেছিলো তারাই কোনো রকমে বেচে গেছে।তাদেরই একজন স্বামী পরিত্যক্ত ‘জয়গুন’। শহরে তখন আর কাজ নেই।তাই সে তার পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে আসে। গ্রামের এক জঙ্গল পরিষ্কার করে তারা ছাপড়া ঘর তুলে থাকতে শুরু করে। তার ভাইবৌ ভিক্ষে আরম্ভ করলো, তার ছেলেও টুকটাক বিভিন্ন কাজ শুরু করলো, জয়গুন নিজেও মানুষের বাসায় কাজ করে দিতো।
কিন্তু সে সমাজে একজন নারীর একাকী জীবনযাপনের কষ্ট ও সমাজের সকলের কথাবার্তার ছাপিয়ে অবজ্ঞা করে সমাজে চলাটা ছিলো খুবই দুরুহ এক ব্যাপার। আর সেই নিদারূন কষ্ট আর দু:সহ অভিজ্ঞতার এক বিশদ প্রতিফলন ঘটেছে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’তে।
১৯৫৫ সালে প্রকাশিত আবু ইসহাকের একই নামের উপন্যাস থেকে ১৯৭৯ সালে সিনেমাটি নির্মাণ করেন মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী।
সিনেমায় জয়গুনের চরিত্রে শক্তিমান অভিনেত্রী ডলি
আনোয়ার ও পার্শ্ব চরিত্রে রওশন জামিল সহ আরো অনেকেই অভিনয় করেছেন। সবার অভিনয়ই ভালো হয়েছে তবে ডলি আনোয়ার ও রওশন জামিলের অভিনয় ছিলো অসাধারণ ও মনে রাখার মতো।
সিনেমাটি সেসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঘুরে বেড়ায় ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করে। সিনেমাটি সেবছর ৭টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।