ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতি মঞ্চে জয়ের মালা বার বার গলায় পড়লেও সংসারের শান্তি আর কপালে জুটলো না ইমরান খানের। ৬৪ বছর বয়সে বুশরা মানেকা সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর খুব বেশি দিন টিকলো তার তৃতীয় সংসার। তুচ্ছ কারণে ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলীয় প্রধানের ঘর।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘরে কুকুর রাখা নিয়ে কলহের জেরে নাকি বাপের বাড়িতে চলে গেছেন পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতার বউ বুশরা মানেকা। এটি তার ক্ষণিকের অভিমান নয়, যাওয়ার আগে ইমরান খানকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তার সঙ্গে ঘর করা আর সম্ভব নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ইমরান আর বুশরার বিবাহ বিচ্ছেন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইমরান ও বুশরার বিয়ের খবর সাংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর আগে তিনি তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরানের ‘ধর্মীয় উপদেষ্টা’র দায়িত্বে ছিলেন। বুশরা স্থানীয়ভাবে ‘পিংকি পীর’ হিসেবে পরিচিত। তার প্রতি ‘ভক্তি’ থেকে বিয়েই করে ফেলেন ইমরান।
ইসলামাবাদভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের খবর, বিয়ের আগে দু’পক্ষের মধ্যে শর্ত ছিল, বুশরার পরিবারের কেউই লম্বা সময় ইমরানের বাড়িতে থাকতে পারবেন না। কিন্তু বুশরার আগের সংসারের ছেলে অনেক দিন ধরেই পিটিআই চেয়ারম্যানের বাড়িতে থাকছিলেন। এতেই ক্ষেপে গিয়ে বুশরার সঙ্গে বিবাদে জড়ান ইমরান। আর সেখান থেকেই নাকি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে ওঠেন বুশরা।
কইমরানের পোষা কুকুরকে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে অপর একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, ইমরানের পোষা কুকুর শেরুকে বুশরা পছন্দ করেন। এ নিয়েই বিবাদ হয়েছে তাদের কোনো পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি এখনও। তবে গত একমাস ধরেই নাকি আলাদা থাকছেন ইমরান-বুশরা। ৫০ বছর বয়সী বুশরা মানেকা এরই মধ্যে স্বজনদের জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের ঘরে তিনি আর ফিরবেন না।
১৯৯৫ সালে ইমরান খান বিয়ে করেছিলেন জেমিমা গোল্ডস্মিথকে। নয় বছর পর ২০০৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৫ সালে ইমরান বিবাহবন্ধনে জড়িয়েছিলেন টিভি উপস্থাপিকা রেহাম খানের সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১০ মাস। এরপর তৃতীয়বারের মতো ইমরান বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন নিজের আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু বুশরা মানেকার সঙ্গে।