বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত “ডুব” চলচ্চিত্রটি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে বিস্তর। তবে সাধারণ দর্শকের চোখে কেমন লাগলো ডুব, তা নিয়েই এই লেখা।
ছবির কলাকুশলীদের মধ্যে প্রধান চরিত্র ইরফান খানের অভিনয় ভালো হলেও তার ভারতীয় উচ্চারণের বাংলা কানে লেগেছে পুরো ছবিতেই। তিশার অভিনয় ছিলো জীবন্ত। রোকেয়া প্রাচী আর পার্ণো মিত্রর অভিনয়ও বেশ ভালো ছিলো। শারমিন সুলতানা সুমির কন্ঠের আহারে জীবন গানটি যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

ছবির গল্প বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মানুষেরই জানা। “ডুব ছবিটি হুমায়ুন আহমেদের বায়োপিক কীনা” – শাওনের তোলা এমন প্রশ্নের জবাবে ছবির পরিচালক ফারুকী বারবার অস্বীকৃতি জানালেও হুমায়ুন আহমেদের জীবন নিয়ে যাদের জানাশোনা আছে তারা হলে বসে সহজেই খুঁজে পাবেন প্রশ্নের উত্তর। নন্দিত লেখকের জীবনের অধিকাংশ ঘটনার ছোঁয়া পাওয়া যায় চলচ্চিত্রে, যা ফারুকী কাকতাল বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ছবির প্রথমেই পর্দায় ভেসে ওঠা ডিসক্লেইমারে। পৌনে দু’ঘন্টার এই ছবিটি দেখার পর একে বায়োপিক বলবেন কীনা তা সম্পূর্ণই দর্শকের বিবেচনার বিষয়।
সাদামাটা গল্পের ছবিটিকে অনবদ্য করে তুলেছে অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি। প্রতিটি দৃশ্যের গভীরতা দর্শককে স্পর্শ করতে বাধ্য।
সহজ গল্প, দূর্দান্ত অভিনয় আর নিখুঁত ফিল্মমেকিং এর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা “ডুব” দেখতে দেখতে সুমির সাথে গলা মিলিয়ে আপনিও গেয়ে উঠতে পারেন –
আহারে জীবন, আহা জীবন
জলে ভাসা পদ্ম যেমন!
লেখা-ফাতিহা অরমিন নাসের