–জুবায়ের ইবনে কামাল
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু দেখালে এক পাশ দেখানো হয়। হয়তো যোদ্ধাদের পক্ষ না হয় শুত্রুদের পক্ষ। যত নাটক সিনেমাই তৈরী হোকনা কেন। এই বৃত্ত থেকে কেউ বের হয়ে কোন কিছু তৈরী করেনি। কিন্তু এমন কি হতে পারেনা যে, একটি পরিবারেই একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবার আরেকজন বিপক্ষে। হ্যাঁ হতে পারে। এবং ৭১ এরকম অনেক ঘটনার স্বাক্ষী।
চলুন কিছুক্ষণের জন্য নতুন একটা দৃশ্য ভাবা যাক। একটা পরিবারের কর্তা রাজাকারদের পক্ষে। সে চায় মুক্তিযুদ্ধের ঝামেলা থেকে তার পরিবার বাঁচুক। কিন্তু তার ঘরের ছেলেই দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে যুদ্ধে। ব্যাপারটা কিরকম? দাঁড়ান আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক। উক্ত পরিবারের মমতাময়ী মা একদমই নিরীহ অবস্থানে আছেন। তার পেটের ছেলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশের জন্য। অপরদিকে মায়ার বাধনে আটকে রাখা তার স্বামী আছেন ছেলের একদম উল্টো পক্ষে। চিন্তা করুন তো ঘটনা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে! হ্যাঁ! তরুণ অভিনেতা ও নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ নির্মান করেছেন এরকম গৎবাঁধা গল্পের বাইরে থেকে ভেবে নতুন প্লটে বানানো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক টেলিফিল্ম “১৭ই ডিসেম্বর“।
এতে অভিনয় করেছেন মনীরা মিঠু, ইভান সাঈর, ফারহান প্রমুখ। শ্যুট হয়েছে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের নির্দিষ্ট একটি স্থানে। উক্ত গল্পে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে মনীরা মিঠু।
কেনইবা এমন গল্প! এরকম প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ চ্যানেল আগামীকে বলেন, ‘দর্শকরা সবসময়ই নতুন কিছু আশা করেন। সত্যি বলতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বানানো বেশীরভাগ নাটকই একই রকম ঘটনা দিয়ে বানানো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে ছড়িয়ে আছে হাজারো গল্প। আমরা চেষ্টা করেছি অন্তত এরকম একটা কাজ উপহার দিতে যা দর্শকরা একটু হলেও ভিন্ন স্বাদ পাবে।’
“১৭ই ডিসেম্বর” নামের টেলিফিল্ম নিয়ে নির্মাতা আরো বলেন, ‘গল্পটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে আগানো হয়েছে। স্বামী আর ছেলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মাঝে মা। সে কিইবা করবে! একটা ঘরের মধ্যকার যুদ্ধ। যুদ্ধ দেখানো ছাড়াই একটি যুদ্ধের গল্প।’
টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায়। ১৪ই ডিসেম্বর, রাত দশটা পঞ্চান্ন মিনিটে।