তানভীর ইবনে কবির।
ভালবাসার সম্পর্কের সূত্র ধরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুজনের সাজানো গোছানো ছোট্ট সংসার। সব কিছু তো ঠিকই ছিল। একটি দুর্ঘটনা সব কিছুই স্থির করে দিল। থমকে দাঁড়ালো একটি জীবন। তার সাথেই স্থবির হয়ে গেলো আরও একটি জীবন।
বলছিলাম তনিমা’র মাঝের কথা। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জনপ্রিয় তরুণ নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ অনলাইন প্লাটফর্ম ইউটিউবের জন্য নির্মাণ করেছেন নাটক “তনিমা”। নাটকের নাম ভূমিকায় সাফা কবির। তার বিপরীত শফিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন সমসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্ব।
পুরোনো সময়ের রেশ ধরে কিছু ব্যক্তিকে খুঁজে বেড়ায় শফিক। এটাকে বলা যায় খানিকটা খু্ঁজে বেড়ানোর গল্প। কেন খুঁজছে, কাকেই বা খুঁজছে এটাই হচ্ছে প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নির্মাতা বান্নাহ।
নাটকটিতে সাধারণ ছিনতাই পরবর্তী মৃত্যুর চিত্র চিত্রিত হয়েছে। নাটকটিতে দেখা যায়, ভালবাসার সঙ্গী তনিমার মৃত্যুর পর অগোছালো হয়ে উঠে শফিকের জীবন। তার স্ত্রীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে জড়িত দের খুঁজতে থাকে শফিক।
নির্মাতা বান্নাহ নাটকের মূল থিম নিয়েছেন এবছর ১৭ই ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ছিনতাই এর ঘটনা থেকে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার অরুনিমা বিশ্বাস বাসা থেকে রিকশাযোগে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দিলে অরুনিমা রিকশা থেকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। হাসপাতালে পাঁচ দিন পরে মৃত্যু হয় অরুনিমার।
তনিমায় অন্যান চরিত্রে ছিলেন করেছেন, সিয়াম নাসির, জেরিন খান, রত্না, রকি খান। আর ভয়েস আর্টিস্ট হিসাবে ছিলেন মুসফিক আর ফারহান।
নাটকটিতে বাস্তবতার ছলে মর্মস্পর্শী চিত্র তুলে ধরেছেন নির্মাতা। ভালবাসার মানুষটিকে হারানোর কষ্ট, ভালবাসার মানুষকে ছাড়া একজন অগোছালো শফিককে তুলে ধরেছেন। নাটকটিতে জীবন্ত গল্প তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে নির্মাতা। গল্পটি মানুষের মানবিকতা, মানুষের বিবেক কে নাড়া দেয়। গল্পের শেষে নির্মাতা মানুষ হিসাবে মানুষকে ভালবেসে মূল ঘটনার অরুনিমার মতো হাজারো হাস্যজ্জ্বল প্রাণকে আমাদের মঝে বাঁচিয়ে রাখার আহবান জানিয়েছেন।