সুবহা বিনতে মতিন
বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। সে কথায় পরে আসছি, আগে ভূমিকা করি। সকাল হতে না হতেই ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলো বড্ড ব্যস্ত হয়ে পরে। তারই সাথে ব্যস্ত করে তোলে আমাদের চিরচেনা শহরটাকে। আমাদের আজকের গল্প সেই চিরচেনা শহরটাকে ঘিরেই। গল্পটা ছিল সচেতনতামূলক। গল্প শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশের আসল চিত্র ফুটে উঠে।গল্পে দেখানো হয় এদেশের মানুষের একটি সাধারণ নোংরা অভ্যাস এবং একটি শিশুর সরল মানসিকতা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাস্তবায়ন করার জন্য এগিয়ে আসে শিশুটি এবং লুকিং গ্লাসে ঘটনাটি দেখে টনক নড়ে অসচেতন মানুষ টির। বলছি ২ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের শর্টফ্লিম ‘লুকিং গ্লাসের’ বিষয়বস্তু। সামাজিক সংগঠন ”পরিবর্তন চাই” আয়োজিত শর্ট এন্ড ক্লিন প্রতিযোগিতায় দর্শক ভোটে ও বিচারকদের নাম্বারের ভিত্তিতে ২য় পুরষ্কার প্রাপ্ত এই ছবিটির নির্মাতা শহিদুল ইসলাম কাজল।
বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডটি ২ কোটি মানুষ ধারণ ক্ষমতার রাখে।কিন্তু এখন এদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্য ৫ কোটি মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। বাকি প্রায় ১২ কোটি মানুষের খাবারের জন্য আমাদের খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। অর্থাৎ প্রতি বছর আমরা হাজার কোটি টাকা ঋণী হচ্ছি। ঋণগ্রস্ত আমাদের উচিত নিজেদের দেশের কথা ভাবার। কিন্তু আমদানি করা খাদ্যশস্য গ্রহন করে তার উচ্ছিষ্টগুলো আমরা রাস্তায় ফেলি ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও।বছরের একটা সময় যখন মুসলমানদের কোরবানির ঈদ হয়, তখন রাস্তায় বের হতেই ভয় লাগে। সেদিন রাস্তায় একলোককে বলতে শুনলাম ‘বাংলাদেশ সরকারকে নোবেল দেওয়া উচিত কেননা আমরা এখনো রাস্তায় হাঁটতে পারি। প্রতিদিন মানুষ যে পরিমাণ রাস্তা নোংরা করে! আসলে বাংলাদেশ নাথিং বাট অ্যা ডাস্টবিন।’ যে দেশের মানুষ নিজেদের ডাস্টবিন বলতে পারে সে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কি বেশি অন্যায় করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার?