০৩, নভেম্ভর, ২০১৮ তারিখে রাজধানী’র ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এ DIMFF (ঢাকা ইন্টারনেশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) কর্তৃক ঢাকার সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিল্ম ক্লাব’ এর সভাপতিদের নিয়ে আয়োজিত হয় প্রীতিলোচনা সভা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন DIMFF এর ‘পাবলিক রিলেশন’ ব্যবস্থাপক ফাবলিহা নাওয়ার৷ অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর’ আসিফ উদ্দিন। DIMFF এর মূল কার্যক্রম ও এর কন্টকাকীর্ন পথযাত্রা’র বর্ণনা দিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করেন তিনি। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বিশ্ববিদ্যালয় এর ‘সিনেমাস্কোপ’ পরিচালিত DIMFF অর্থাৎ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল তার যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে৷ একে একে চারটি বছর পেরিয়ে তাঁদের ৫ম প্রদর্শনী আয়োজিত হতে যাচ্ছে ২০১৯ সালের ১৫ ও ১৬ই ফেব্রুয়ারি৷ এই সংস্থাটির কাজ মূলত হাজার হাজার অতৃপ্ত চোখের স্বপ্ন পূরণ করে শুধুমাত্রই মুঠোফোন দ্বারা তৈরি চলচ্চিত্র নির্বাচন, প্রদর্শন ও সবশেষে সেরা চলচ্চিত্র বাছাই করে বছরের সেরা পরিচালক কে পুরষ্কিত করা। যথাক্রমে ‘স্ক্রিনিং’, ‘কম্পিটিশন’ ও ‘ওয়ান মিনিট ফিল্ম’ এই তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিরা মুঠোফোন দ্বারা তৈরি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান৷ সময় পেরোতেই জাতীয় পর্যায় ভেদ করে আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গন ছুঁয়েছে এই অনুষ্ঠান৷ তবে, প্রতিযোগিতা টিকে শুধুমাত্র ULAB এই সীমাবদ্ধ না রেখে, দেশের নানান বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ প্রচেষ্টায় আরও বড় পরিসরে করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন DIMFF এর ‘ফেস্টিভ্যাল কো-অর্ডিনেটর’ ফয়সাল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিল্ম ক্লাব’ এর নিমন্ত্রিত অতিথিদের তিনি আহ্বান জানান সবাই একত্রিত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে প্রতিযোগিতা টিকে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে নিয়ে যেতে৷ অনুষ্ঠানটির এই পর্যায়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাঁদের নিজ নিজ বক্তব্য উপস্থাপন করেন উপস্থিত সবার সামনে৷ ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ থেকে আশিকুল আলম অর্ণব, ‘ব্র্যাক’ ইউনিভার্সিটি থেকে শিহাব নূর আলম, ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’ থেকে আল আমিন এবং ‘নটর ডেম ইউনিভার্সিটি’ থেকে বর্ণালী পূর্ণা যথাক্রমে তাঁদের বক্তব্য রাখেন এবং ভবিষ্যতে DIMFF এর পাশে থেকে এক সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানান। সবশেষে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় প্রীতিলোচনা সভা।