ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে আসা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা আক্তার।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্যস্ত থাকে। কেউ কেউ পুরো দিন কাটায় অনলাইন গেম, রিলস কিংবা টিকটক দেখে, যা পাঠদান ও শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ইউএনও খাদিজা আক্তার বলেন,
“আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতাবোধে গড়ে উঠুক। মোবাইল ও মোটরসাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শিক্ষার পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”
নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর মহেশপুর উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন খেলাধুলার সামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে।
উদ্যোগটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। মহেশপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রমজান আলী বলেন,
“আমরা চাই সন্তানরা পড়াশোনায় মনোযোগী হোক। এই সিদ্ধান্তটি সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়।”
একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন,
“শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিয়মিত মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম থাকলে শিক্ষার্থীদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা পাবে।”
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।