কুমিল্লা, ২ আগস্ট:
কুমিল্লার গোমতী নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা ৫০৮টি অবৈধ স্থাপনা আগামী ছয় মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কেউ যাতে নতুন করে নদী দখল কিংবা মাটি ভরাট করতে না পারে, সে জন্য কুমিল্লার পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই রায় ২০১১ সালে জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অংশ। রিটটি দায়ের করে পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB)। রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহসিন কবির।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২ মার্চ এক প্রাথমিক আদেশে গোমতী নদীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়। অনুসন্ধানে মোট ৬২৩টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হয়, যার মধ্যে ২৬৫টি উচ্ছেদ হয়েছে বলে আদালতে জানানো হয়।
রায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তিন মাসের মধ্যে গোমতী নদী ড্রেজিংয়ের (পলি অপসারণ) প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অবশিষ্ট উচ্ছেদ কার্যক্রমের জন্য বাজেট বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এলআর ফান্ড (Land Revenue Fund) ব্যবহার করে কাজ শুরু করার অনুমোদনও দিয়েছেন আদালত।