গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে আরও একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ১৫টি এবং আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ হাজার জন।
সদর থানার উপপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৩৩। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারের ভাষ্য
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার কাঠি বাজার এলাকায় গোপালগঞ্জ–পয়সারহাট সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, রড, ইট, কাঠের বাটাম ও ইলেকট্রিক করাত নিয়ে মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।”
মামলা ও গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১,২৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ১৪,৯৬০।
গত ১৬ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রেক্ষাপট
১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। রাতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, যা পরে কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০ জুলাই সকাল ৮টায় কারফিউ শিথিল করা হয়।