ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ ভারতে হামলার পরিকল্পনা করার সময় বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করেছেন। তবে এই তথ্য বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তৌহিদ হোসেন বলেন, যাই কিছু ঘটুক না কেন, মিডিয়া প্রায়ই আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এই ধরনের খবরের কোনো বৈজ্ঞানিক বা প্রমাণভিত্তিক ভিত্তি নেই। তিনি আরও বলেন, “কোনো সেনসিবল ব্যক্তি এই ধরনের দাবিকে বিশ্বাস করবে না। আমাদের মাটিকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা অনৈতিক এবং ভিত্তিহীন।”
এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণের পর পুরো ভারতে নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, হাফিজ সাঈদ এই হামলার পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করেছেন। যদিও এ ধরনের দাবি বাস্তবায়নের প্রমাণ বা তথ্য-উপাত্ত এখনও প্রকাশিত হয়নি। ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ধরনের আন্তর্জাতিক হামলার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকেন।
অন্যদিকে, একইদিন পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, আত্মঘাতী হামলাকারী আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল, কিন্তু সুযোগ না পেয়ে একটি পুলিশ গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
এই ঘটনাগুলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের হামলার ঘটনায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা ও তথ্য ভাগাভাগি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আরও সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের অভিযোগ দ্রুতভাবে রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হতে পারে, যা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সিএ/এমআরএফ


