জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রাম থেকে একটি বিরল ও বিশাল আকৃতির শকুন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকা শকুনটিকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ধানুয়া গ্রামের জিবু মিয়ার বাড়ির পাশে অসুস্থ অবস্থায় শকুনটিকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী। উড়তে না পারায় প্রথমে তাড়ানোর চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে স্থানীয়রা শকুনটিকে উদ্ধার করে ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে। পরে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শকুনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় পাহাড়সংলগ্ন অঞ্চল হওয়ায় একসময় ধানুয়া কামালপুর এলাকায় প্রায়ই শকুন দেখা যেত। গৃহপালিত কোনো পশু মারা গেলে শকুন এসে হাজির হতো। কিন্তু গত ১০–১২ বছরে এলাকায় শকুন দেখা যায়নি। দীর্ঘ সময় পর বিরল প্রজাতির এই শকুনটিকে দেখে স্থানীয়দের ধারণা—খাদ্যের অভাব বা পথ ভুলে এসে এটি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে পারে।
ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেজবাউল হক তুহিন বলেন,
“জলবায়ু পরিবর্তন ও বন উজাড়ের কারণে শকুনসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির মুখে। অসুস্থ শকুনটি বিদ্যালয়ে আসার পর আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। পরে তারা উদ্ধার করে। বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল রক্ষা এখন অত্যন্ত জরুরি।”
বকশীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা বলেন,
“উদ্ধার করা শকুনটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে এটিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পুনঃস্থাপন করা হবে।”
সিএ/এএ


