কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সাপ ধরতে গিয়ে বিষধর সাপের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন এক সাপুড়ে। পরে সেই সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খেয়েছেন আরেক সাপুড়ে, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘সাপ খাওয়া মোজাহার’ নামে পরিচিত।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে, নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়ায়। সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের কালীগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে একটি কিং কোবরা ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে আহত হন। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মরদেহ বাড়িতে আনার পর স্থানীয় ওঝা মোজাহার ঘটনাস্থলে আসেন এবং নিহত বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপটি নিজের হেফাজতে নেন। এরপর গাবতলা বাজারে তিনি ওই বিষধর সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন, যা দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ।
মোজাহার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাপ ধরে থাকেন এবং সাপে কাটা রোগীর ঝাড়ফুঁক চিকিৎসাও করেন।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এসএম আবু সায়েম বলেন, “সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক নয়, দ্রুত হাসপাতালই একমাত্র উপায়। আমাদের কাছে যথেষ্ট অ্যান্টিভেনম রয়েছে, তাই সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়া জরুরি।”
বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। এ সময় সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।