বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত মো. হাসান সরদারের শরীরে রয়েছে ৪০০ স্প্লিন্টার, দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য
ঢাকার বাড্ডায় বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত মো. হাসান সরদারের শরীরে রয়েছে প্রায় ৪০০ স্প্লিন্টার। তিনি এখন মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
বরিশালের আগৈলঝাড়ার যুবক মো. হাসান সরদার ওই ঘটনায় তাঁর কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। বাবা মৃত, তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই বড়। হাসানের ভাই-বোন কলেজে পড়লেও আর্থিক সংকটে ফি দিতে পারছেন না। খাবার জোগাড় করাও কঠিন হয়ে পড়েছিল বলে জানান তিনি।
১৮ জুলাই ঢাকার রামপুরায় প্রথম দফায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও ৫ আগস্ট আবার আন্দোলনে যান হাসান। ওইদিন বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে পুলিশের গুলিতে তাঁর মুখ, পাঁজর ও হাতে অসংখ্য গুলি লাগে। এরপর একাধিক হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা নেন তিনি। দীর্ঘদিন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা এবং সিআরপিতে থেরাপির পর তিনি বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে আছেন।
সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সংগঠন ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখন বণিক জানিয়েছেন, সরকার হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি মাসে সিঙ্গাপুর পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।