মারজানা মিতু
‘পল্লীকবি’ নামে সমাদৃত জসীম উদ্দীন জন্মগ্রহন করেন ১৯০৩ সালের ১লা জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে। তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও ফরিদপুর জিলা স্কুলে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রের প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ১৯৪৪ সালে তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর পদে যোগদান করেন। লেখালেখির নেশায় কলেজে থাকাবস্থায় বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতা রচনা করেন। বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য সুস্পষ্ট হয় তার রচনায়। গ্রাম্য প্রকৃতির সুর ও ছন্দের সাথে আধুনিকতার মাধুরি মিশে আছে জসীমউদ্দীনের প্রতিটি কবিতায়। এজন্য তিনি বাংলার প্রিয় ‘পল্লীকবি’ উপাধি লাভ করেন।
কবিতা ছাড়াও তিনি একাধারে রচনা করেছেন কাব্যগ্রন্থ,উপন্যাস,সঙ্গীত,নাটক,ভ্রমনকাহিনী। তার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘নকশী কাথার মাঠ’ পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাছাড়া ‘রাখালী’, ‘বালুচর’,’সোজন বাদিয়ার ঘাট’,’মাটির কান্না’, ‘এক পয়সার বাঁশি’ উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।’পল্লীবধূ’,’বেদের মেয়ে’ সহ বিভিন্ন নাটক রচনা করেছেন। ১৯৬৯ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কবিকে ডি লিট উপাধি প্রদান করা হয়। তিনি ১৯৭৬ সালে একুশে পদক ও ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালের ১৩ই মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরন করেন বাংলার কবি জসীমউদ্দীন। বাংলা সাহিত্যে কবির অবদান চির স্মরনীয় ।