জাকিয়া সুলতানা প্রীতি
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ক্যাম্পাস ক্লাইম্যাক্স”।।
গত ৭ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটরিয়ামে চলচ্চিত্রটির ট্রেলার প্রকাশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সহ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সাহিত্য সম্পাদক মাজারুল কবির শয়ন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
‘ক্যাম্পাস ক্লাইম্যাক্স’ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা জিৎ দে। তিনি বলেন, নানা বাধা বিপত্তি আর সংকট মোকাবেলা করে অবশেষে চলচ্চিত্রটির কাজ শেষ করতে পেরেছি, এতেই আমরা উচ্ছ্বসিত।
ঢাবি ক্যাম্পাসের এক ছোট ভাইয়ের ক্যামেরায় ধারণ করা হয় পুরো চলচ্চিত্র। জিৎ জানান, চলচ্চিত্রটির কাজ শুরু হয়েছিলো প্রায় আড়াই বছর আগে। কিন্তু অর্থাভাবে বিভিন্ন সময় থেমে গিয়েছিলো ছবির কাজ। কিন্তু হতাশ না হয়ে সবার সহায়তায় চলচ্চিত্রটি সম্পন্ন হয়েছে। ছবিটির সঙ্গে অনেকের আবেগ জড়িত। এমনটা জানিয়ে নির্মাতা বলেন, আমাদের যেহেতু কোনো প্রযোজক নেই, লগ্নিকার নেই তাই ছবির কাজ শুরু করার পর বহুবার থেমে গেছে। তবু আমরা কখনো হতাশ হইনি। অনেক সময় নিজেদের খাওয়ার টাকা বাঁচিয়ে ছবির কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছি।
‘ক্যাম্পাস ক্লাইম্যাক্স’-এ কেমন গল্প দেখিয়েছেন নির্মাতা? এমন প্রশ্নে জিতের উত্তর, স্পেসিফিক একটা গল্প না দেখিয়ে ক্যাম্পাস লাইফের সমগ্র জীবন আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি। প্রেম থেকে শুরু করে বন্ধুত্ব, ক্লাসের পড়াশোনা, গণরুমে থাকা, চাকরি-বাকরি নিয়ে হতাশা। সব কিছু অল্প অল্প করে হলেও স্পর্শ করে গেছি পুরো ছবিতে।
শিগগির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘ক্যাম্পাস ক্ল্যাম্যাক্স’ চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর আয়োজন করবেন বলেও জানান জিৎ।
পুরো চলচ্চিত্রে আছে তিনটি গান। কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব আল রুদ্র, শুভ্র সরকার ও ফারহা দিবা লাবন্য। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাইরুল বাসার, আফসানা আশা, মীর লোকমান, মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার, রানা নাসির, অনন্যা পাখি, সাফওয়ান মাহমুদ, মৌসুমি মৌ, শারমিন অন্তু, আমির হামজা, তৌফিক আহমেদ, মির্জা গালিব, মাইশা মোনামী, তারেক হোসেন, রত্না দাস, সজীব সরকার, মুর্তজা যুবায়ের, অমিত দেবনাথ, মেহেদি আল-আমিন, সাইফুল্লাহ সাদেক, আহমেদ রেজা প্রমুখ।
ছবি: সংগৃহীত…