সামিরা শাইবা অথৈ
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া “ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ” এর একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন ভর্তি পরীক্ষায় ১০ লাখ টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতো বিধায় লটারি পদ্ধতি চালু হয়েছে। আসলেই কি তাই? এক সময় নামিদামি স্কুল গুলো তে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা অনেক পড়ালেখা করে ভর্তি পরীক্ষা দিত। সেই সময় ভাল স্কুল গুলো তে ভর্তির এক মাত্র হাতিয়ার ছিল মেধা। কিন্তু এখন? এখন একটা বাচ্চার ফিউচার নির্ভর করে শুধুই ভাগ্যের উপর! মেধার থেকে এখন ভাগ্যের মূল্য বেশি।শুধু মাত্র ভাগ্য ভাল থাকলেই একজন শিক্ষার্থী একটি ভাল স্কুল এ, একটি স্বপ্নের স্কুল এ পড়ার সুযোগ পাবে! এর কি আসলেই কোন মানে হয়? বাংলাদেশ এর এই লটারি পদ্ধতিকে যদি অন্ধ বিশ্বাস এর সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে বেপার টা কেমন হয়?
মানুষ বিজ্ঞান কে ভুলে অন্ধ বিশ্বাসে মগ্ন হওয়া যেমন ঠিক তেমন এ মেধা ছাড়া একটা বাচ্চার স্বপ্ন শুধু ভাগ্য দিয়ে নির্বাচন করাও ঠিক তেমন ই। এইবার আসা যাক টাকার বিষয়। এই যে লটারি পদ্ধতিতে কি শুধুই ভাগ্যের খেলা চলে? এইখানে কি টাকার খেলা চলে নাহ? ভর্তি পরীক্ষার সাথে তুলনা করলে লটারি পদ্ধতিতেই কি টাকার খেলা বেশি দেখা যায় নাহ? এই প্রশ্ন আরও ১০ জন মানুষ এর কাছে করলে তারা অবশ্যই বলবে লটারি পদ্ধতির কথা! কেননা যেকোনো স্কুল এ ভর্তি পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই জয় টাকার ই হয়। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে ভর্তি পরীক্ষায় এই খেলা কম দেখা যায়। সুতরাং একটা বাচ্চার স্বপ্ন, একটা বাচ্চার ভাল ফিউচার শুধুই ভাগ্যের হাতে না ছেড়ে মেধার হাতে ছাড়া টাই কি যুক্তিসংগত নয়? লটারি পদ্ধতিতে মেধাবীরাও থাকে এই কথা অবশ্যই স্বীকার করতে হয়। কিন্তু আরও ১০ টা বাচ্চার সাথে পরীক্ষা দিয়ে আর কেবল ভাগ্যের জোরে একটা ভাল স্কুল এ ভর্তি হওয়া, এই দুই মেধার মধ্যে পার্থক্য অনেক অনেক বেশি!