মোঃজুলকার নাইন মাহফুজ
১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর বুয়েনোস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরের পলিক্লিনিকো প্রভিতা হাসপাতালে জন্মগ্রণ করেন ম্যারাডোনা। তবে ম্যারাডোনার ছোটবেলা কাটে ভিয়া ফিওরিতোতে। তিন কন্যা সন্তানের পর চতুর্থ সন্তান হিসেবে ম্যারাডোনা জন্মগ্রহণ করেন। ম্যারাডোনার ছোট আরও দুই ভাই রয়েছে।
আর্জিন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর ক্লাব ফুটবলে ম্যারাডোনার অভিষেক ঘটে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ক্লাবে খেলেন ম্যারাডোনা। এই ক্লাবের হয়ে ১৬৭ খেলায় ১১৫টি গোল করেন। ১৯৮১ সালে ১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন ম্যারাডোনা। বোকা জুনিয়র্সে খুব বেশিদিন খেলেননি ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনা যোগ দেওয়ার পর ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্স প্রথম লীগ চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেন।
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের পর ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৩ সালে ম্যারাডোনার বার্সেলোনা কোচ সিজার লুইস মেনত্তির অধীনে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে কোপা দেল রে এবং অ্যাথলেতিক বিলবাওকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয় করে। বার্সেলোনার হয়ে ৫৮ খেলায় ৩৮টি গোল করেন ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ম্যারাডোনা টানা চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। তবে এর আগে ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৬ বছর বয়সে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যারাডোনার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়। আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৭৯ সালে যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে এবং সেই বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়।
ফুটবল ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনার অর্জনের কোনো শেষ নেই। তবে তার এমন একটি অর্জন রয়েছে যা অন্য কোনো ফুটবলারের নেই। আর তা হলো ফিফা অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ ও ফিফা বিশ্বকাপ – এ গোল্ডেন বল এর অধিকারী হওয়া।
শুভ জন্মদিন ডিয়েগো ম্যারাডোনা । একজন জীবন্ত কিংবদন্তী ।