পাজর চক্রবর্তী
সদস্য সিনেমাদক ফেইসবুক গ্রুপ
নয় জন মানুষ অথবা তার চেয়েও বড় পরিচয় নয় জন অপরাধী।
খুনি, সাবেক পর্ণতারকা, জন্ম থেকেই অপরাধপ্রবণ সবই আছে এই গ্রুপে।
তারা জেল থেকে পালিয়ে গেল একরাতে।
আহা মুক্তি! সেই নয় জনের প্রত্যেকেরই একটা জীবন, পরিচয় আর অতীত ছিল। তবে তার চেয়ে বড় কথা,তাদের কিছু অসম্পন্ন কাজ ও হিসাবনিকাশবাকি আছে। সেগুলোর উদ্দেশ্যে একটা গাড়ি ছিনতাই করে শুরু হল যাত্রা।
এইভাবে শুরু সিনেমার।
সিনেমাটা দেখতে দেখতে একবারের জন্যও বুঝতে পারিনি, এরকম একটা হাস্যরসপূর্ণ ফার্স্ট হাফের (প্রথম দিকে কমেডি ড্রামা, সাথে রোড ট্রিপের আঁচ পাওয়া যায়) আড়ালে,ডিরেক্টর আসলে দর্শকদের সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছুর জন্য প্রস্তুত করে তুলছেন- উন্মাদনা আর প্রতিকী উপলব্ধির যুগলবন্দী।
প্রায় প্রত্যেক চরিত্র, তাদের নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রয়াশ এই দুইয়ে মিলিয়ে, আলাদা আলাদা নাটকীয় দৃশ্যের আয়োজন করেছেন ডিরেক্টর।
ডিরেক্টর সম্ভবত অনেকগুলো চরিত্র তৈরি করে সেগুলোর গল্পগুলো বলতে ভালবাসেন। সঙ্গে অসাধারণ মিউজিকের ব্যবহার। নাইন সোলস এর পুরোটা জুড়ে আছে এ ব্যাপারগুলা।
‘নাইন সোলস’ সেই সিনেমাগুলোর মধ্যে পড়ে, যেগুলো দেখলে এমন সব প্রশ্ন মাথায় আসে যার উত্তর পেতে আর পুনরায় দেখতে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায়।
যাইহোক, প্রথমবার দেখে প্রশ্ন জেগেছিল। আপনাদেরও হবে এমনটা। শেষমেশ হিসেব না মিললে নাহয় মেনে নেবেন, গোটা পৃথিবীটাই বাস্তবতা আর সুপারন্যাচারালের কলিশনের তৈরি।
9 souls (2003)
dir.: Toshiaki Toyoda
(Japan)