নাহিদ আহসান ||
প্রচন্ড ব্যস্ত এ জীবনে হাতে সময় নিয়ে পরিপাটি প্রাতরাশের সুযোগ আর মেলে কোথায়? তাই হাতের নাগালে যা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়েই সেড়ে নিতে হচ্ছে প্রতিদিনকার সকালের নাস্তা। এ দিক থেকে সকালের নাস্তার তালিকায় সর্বপ্রথমে রয়েছে সাদা পাউরুটি। মাখন মাখিয়ে ময়দার এ পাউরুটি খাওয়ার অভ্যাস যেন সাধারণ সকলের। বানানোও সহজ, খেয়ে ফেলাও।
কিন্তু, আপনি জানেন কি! কম সময় লাগবে ভেবে বাজারচলতি যে হোয়াইট ব্রেড বা ময়দার পাউরুটি খাচ্ছেন, তাতেই লুকিয়ে আছে নানান ধরণের অসুখের বীজ! অর্থাৎ, বলতে গেলে উপকার তো হচ্ছেই না বরং মৃত্যুর সময়কে যেন আরেকটু বলে এগিয়ে আনছেন সবাই। চিকিৎসকদের পরামর্শতে ময়দার রুটি নিষিদ্ধ তালিকায় ই রয়েছে বলতে গেলে, তার পরিবর্তে যোগ করতে পারেন আটার পাউরুটি।
শহরের নানান ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও দোকানে ব্রাউন ব্রেড মিললেও গ্রাম বা মফস্বলের দিকে খুব একটা সহজলভ্য নয় এই আটার পাউরুটি। বরং প্রতিটা দোকানেই সকাল হলেই পাওয়া যাচ্ছে ময়দা দিয়ে বানানো অতি সুলভ মূল্যের পাউরুটি,যা দিয়েই আমরা নিত্যদিনকার শুরুটা করে থাকছি, ভুলবশতই। বিদেশে পাউরুটির চাহিদা তুঙ্গে, সেই ক্ষেত্রে আমরাও একে আপন করে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এই ময়দা দিয়ে বানানো বিভিন্ন বেকারী থেকে কিনে আনা পাউরুটিগুলো নিতান্তই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!
আটায় ফাইবারের পরিমান বেশি, কিন্তু ময়দায় তেমন একটা ফাইবার নেই। আবার আটার তুলনায় ময়দায় সোডিয়াম বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। তাছাড়া আমাদের দেশের বেকারীগুলোতে কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পাউরুটিগুলো বানানো হচ্ছে,তা নিয়েও বেশ সন্দিহান সবাই। চিকিৎসকদের মতে, আটায় যেই পরিমান ফাইবার থাকে, তা পেট ভরতে এবং যথেষ্ট পুষ্টির যোগান দিতে পারে কিন্তু ময়দার পাউরুটি তা পারে না। ময়দায় ফাইবার কম থাকায়, এটি ক্ষুধার প্রবণতাও বাড়ায়, ক্ষতি করে পাকযন্ত্রেরও, বেশি খারাপ হলে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
সুতরাং, জেনে না জেনে প্রতিদিনকার সকালের শুরুটা যেই খাবার দিয়ে হচ্ছে,সেই খাবারটা আসলেই কতোটুকু স্বাস্থ্য উপযোগী তা একটু ভেবে দেখবেন সকলেই। মনের অগোচরে নিজের মৃত্যুকে খুব শীঘ্রহই ডেকে আনবেন না।
সূত্র : আনন্দবাজার, মানবকন্ঠ।