হৃদয় মাহমুদ
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ৪৭ শিক্ষার্থীকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অনেক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।এ ধরনের খবরকে ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ দাবি করে তার নিন্দা জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা।
কলেজের কাছে আবসিক ছাত্ররা বাবা-মায়ের পবিত্র আমানত।ভোর ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সকালের ব্যায়াম-নাস্তা-ক্লাস, দুপুরের খাবার, বিকালের খেলাধুলা-মাগরিবের নামাজ-রাতের খাবার, এসব বাধ্যতামূলক প্রোগ্রাম তাদের নির্ধারিত সময়ে লাইন ধরে একযোগে যেতে হয় এবং নির্ধারিত সময়ে ফিরতে হয়। এমনকি প্রতি রাতে আড়াই ঘণ্টার সেলফ স্টাডিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা রুমে রুমে গার্ড হিসেবে থাকেন।আবাসিক হাউসগুলোর তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের সার্বিক কল্যাণের জন্যই এমন সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। উল্লেখ্য যে, কোন আবাসিক ছাত্র ছুটির লিখিত অনুমতি ও অভিভাবকের অবগতি ছাড়া কলেজের সীমানার বাইরে যেতে পারে না। এমনকি হাউসের মেইন গেটের বাইরে যাওয়ার সুযোগও সীমিত।বাবা-মায়ের আমানত এই ছোট ছোট বাচ্চাদের কারো কোন ক্ষতি হলে তার দায় কে নিবে?
তাই আইন অমান্য করলে সার্বিক শৃঙ্খলার স্বার্থে হাউস থেকে বহিষ্কার করার বিধান রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ১ আগষ্ট কিছু সংখ্যক আবাসিক ছাত্র অনুমতি ছাড়া কলেজ ছুটি শেষে কলেজ ক্যাম্পাসের বাহিরে যায়।বাহিরে যাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।তারা কলেজে ফিরে এলে তাদের বহিষ্কার না করে বরঞ্চ বুঝিয়ে হাউজে ফিরিয়ে আনা হয়।পরে ছাত্রদের অভিভাবকদের ডেকে আনা হয় এবং ‘শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে মোটিভেশনের’ উদ্দেশ্যে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে সাময়িকভাবে বাসায় নিয়ে যান।
অনেকছাত্রের ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে এবং কথা বলে কথার সত্যতা পাওয়া যায়।এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এক ছাত্রের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সে তার নাম অপ্রকাশের শর্তে চ্যানেল আগামীকে বলে, তাদের প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুণ্ণ করতে কিছু সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।যা সম্পূর্ণ ”মিথ্যা ও ভিত্তিহীন”। তাদের হাউজ টিসি অথবা কলেজ টিসি দেওয়া হয় নাই।তাদের অভিভাবকের ইচ্ছায় তারা সাময়িকভাবে বাসা যায়।
সে আরো বলে, এই ব্যাপারে আমাদের অধ্যক্ষ স্যারের নামেও নানা অপ্রীতিকর তথ্য লেখা হয়। আমি খুব অবাক হয় কেননা তিনি বর্তমানে দেশে নেই। তিনি গত ১৪ জুলাই পবিত্র হজ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন।
সবশেষে সে বলে, আমি সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের পক্ষ থেকে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রচারের নিন্দা জানাচ্ছি। সে ভবিষ্যতে এসব খবর প্রচারে আরো সত্যতা যাচাই করার জন্য মিডিয়াকে অনুরোধ করে।
বাসা থেকে সংশ্লিষ্ট ছাত্ররা ইতোমধ্যে বাসা থেকে হাউসে প্রত্যাবর্তন করেছে এবং শ্রেণিপাঠদান শুরু করেছে।