প্রতিনিয়ত নির্যাতন, গণহত্যা এবং অবিচারের কারণে ফিলিস্তিনি জনগণ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সোমবার ইস্তাম্বুলের ‘কেমেল রয় কনর্সাট’ হলে আন্তর্জাতিক জলবায়ু শান্তি পুরস্কার অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এই সমালোচনা করেন।
ফিলিস্তিন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতার কঠোর সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ইসরাইলি আক্রমণে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, ভবিষ্যতে কোনও সমাজই নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন সমস্যাটি কোনো দেশ বা শহরের একটি এক্সক্লুসিভ ইস্যু নয়। প্যালেস্টাইন এবং জেরুজালেমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থানের ওপর মানবতার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এর উল্টোটা ঘটে, তাহলে আমাদের জন্য একটি অন্ধকার ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। যেখানে সকল অধিকার, স্বাধীনতা, নৈতিকতা এবং সততা অনুপস্থিত কিংবা পরিত্যক্ত হয়েছে, যেখানে অত্যাচার অধিক ক্ষমতাশালী।’
এরদোগান বলেন, ‘অত্যাচারের বৈধতা নিয়ে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে একতরফা ইসরাইলি দমন অভিযানকে হাইলাইট করছে। ফিলিস্তনিদের একমাত্র অপরাধ হচ্ছে- তারা নিজেদের ভূমি রক্ষার চেষ্টা করছে।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এপর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা, এমন একটি ভবিষ্যতের চিহ্ন দেখাচ্ছে যেখানে কোনও সমাজ ও ব্যক্তি নিরাপদ নয়।’
ফিলিস্তিনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দায়ী করে তিনি তাদেরকে ‘মুনাফিক’ বলে অভিহিত করেন।