ব্রিটেনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার প্রবাসীদের জয়জয়কার। শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জগন্নাথপুরের লন্ডন প্রবাসী নয় ব্যক্তি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। লন্ডনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলররা হলেন- আবদুল মুকিত চুনু, জেনেট রহমান, লুৎফুর রহমান, আবুল কহের চৌধুরী, কাহার চৌধুরী, লিমা কৌরেশী, আহবাব হোসেন, সৈয়দা সামছিয়া আলী ও এহসানুল হক।
জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর এলাকার সমাজসেবক আবদুল মুকিত চুনু (এমবিই) তৃতীয়বারের মতো ওয়াবার্স এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। একই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর হেলাল রহমানের স্ত্রী জেনেট রহমান ব্রোমলি বাই ব নর্থ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে উপজেলার পাটলী গ্রামের লুৎফুর রহমান ম্যানচেস্টার সিটি কাউন্সিল থেকে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। একই গ্রামের আবুল কহের চৌধুরী দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাম্পশায়ার থেকে নির্বাচিত হন। ওই গ্রামের কাহার চৌধুরী লেবার পার্টির পক্ষে লেনসবারি এলাকা থেকে এবং শমশির কৌরেশীর স্ত্রী লিমা কৌরেশী স্পিটাপিল্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই ইউনিয়নের প্রভাকরপুর গ্রামের আহবাব হোসেন বেথনালগ্রিন এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া উপজেলার সৈয়দপুর নোয়াপড়া গ্রামের সৈয়দ তরব আলীর মেয়ে সৈয়দা সামছিয়া আলী ডারলিংটন এবং পৌর এলাকার ইসহাকপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে এহসানুল হক লন্ডনের একটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ জনপ্রতিনিধিদের বিজয়ে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার ঢেউ লেগেছে। বিজয়ী কাউন্সিলরদের অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে আনন্দের ঝড়।
জীবিকার তাগিদে বিদেশে স্থায়ী হলেও এলাকার শিক্ষার উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখছেন এ প্রবাসীরা। জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা।
নির্বাচিত কাউন্সিলর সামছিয়া আলীর চাচা উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ লিলু মিয়া বলেন, আমার আপন ভাতিজি নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। যুক্তরাজ্যে সে বাস করলেও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তার অবদান প্রশংসার যোগ্য।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন, বাঙালিদের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রবাসীরা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন, সেই প্রত্যাশা করছি।