সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যশোর শিক্ষাবোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিকে (এইচএসসি) ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা সম্পন্ন। কোথাও প্রশ্নফাঁসসহ বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে অসাধুপায় অবলম্বনের দায়ে মোট ১৬ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। আর এ পরীক্ষায় এক হাজার ৩ শত ৪৫২জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সমীর কুমার কুন্ডু।
তিনি জানান, ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭শত ৬৫ জন। তার মধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ শত ১৩ জন শিক্ষার্থী। ১ হাজার ৪ শত ৫২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে যশোরে ২৬০ জন, নড়াইলে ৮৫ জন, মাগুরায় ১০৮ জন, ঝিনাইদাহে ১৮৪ জন, কুষ্টিয়ায় ১৪৯ জন, মেহেরপুরে ৫৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৯০ জন, খুলনায় ২২২ জন, সাতক্ষীরায় ১৮৮ জন ও বাগেরহাটে ১০৯ জন শিক্ষার্থী।
আর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের রয়েছে- যশোরে ৩০০ নং কেন্দ্রে ১জন, কেশবপুর ৩১৭ নং কেন্দ্রে ১ জন, নড়াইল ৩২৫ নং কেন্দ্রে ১ জন, মাগুরার বিনোদপুর ৩৮১ নং কেন্দ্রে ১ জন, ঝিনাইদাহে ৩৮১ নং কেন্দ্রে ১ জন, মালেশিয়া ৩২৯ নং কেন্দ্রে ১জন, শৈলকূপা ৪১৭ নং কেন্দ্রে ৪ জন, মহেশপুর ৩৯০ নং কেন্দ্রে ১ জন, কুষ্টিয়া ২৭২ নং কেন্দ্রে ১ জন, খুলনা বেলফুলিয়া ২২১ নং কেন্দ্রে ২ জন, সাতক্ষীরা তালা ২৫৩ নং কেন্দ্রে ১ জন ও কলোরোয়া ২৬০ নং কেন্দ্রে ১ জন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ অত্যন্ত সচেতনার সাথে কাজ করছেন। নকল ও প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধ করতে পরীক্ষা শুরুর ত্রিশ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের আসনে বসানো হচ্ছে। কাউকে কোন ধরণের দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থীরা অসাধুপায় অবলম্বন করছে তাদের প্রতিনিয়ত বহিষ্কার করা হচ্ছে। অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, সহ বিভিন্ন দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে প্রতিটি পরীক্ষায় শতাধিকের উপরে বোর্ডের ভিজিলেন্স টিমের সদস্যবৃন্দ মাঠে থাকছে। স্বয়ং বোর্ড চেয়ারম্যান নিজেও মাঝে মাঝে কেন্দ্রে ভিজিট করেছেন। তারপরও কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ সহকারে অভিযোগ পাওয়া গেলে পরীক্ষা আইনে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।