ইভান পালঃ
বন্দর নগরী কিংবা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের এই বিখ্যাত শহরটি ঢাকার ই মতো বলা চলে। অর্থাৎ লোকসংখ্যা আর আয়তনে হয়তো বা ঢাকার তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
যাক, এবার এই বন্দর নগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মানুষের কিছু দুর্ভোগের গল্প বলি।
এম্নিতেই চট্টগ্রাম নগররীতে চলছে উন্নয়নের জোয়ার। চারদিকের এমন অবস্থা যে হয়তো চেনাই যাবে না বছর দশেক আগের চট্টগ্রাম আর বর্তমান চট্টগ্রাম। নগরীর জামালখান এলাকাতে দশ বরেণ্য বাংগালির ভাষ্কর্য, তিন-চারটি ফ্লাইওভার সহ আরো টুকিটাকি অনেক কিছুই বদলেছে। সত্যিই বলতে কি,আমাদের চট্টগ্রাম কিন্তু উন্নয়নের জোয়ারেই ভাসছে। হয়তো বা আর মাত্র কিছু দিন পর ফ্লাইওভারগুলোর কাজ সমাপ্ত হলেই আরো নতুন ভাবে সামনে এগিয়ে আসবে আমাদের এই বন্দর নগরী।
কিন্তু, চট্টগ্রামের আরাকান সড়কের অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং নামক সমস্যার সামান্যতম ও পরিবর্তন ঘটেনি। যা সত্যি ই খুব ই দু:খের।
প্রতিবেদন টির শিরোনামেই উল্লেখ করেছি অবৈধ গাড়ি পার্কিং আর ফলশ্রুতিতে যানযট আর এই সড়ক্টি দিয়ে যাতায়াতকারি অসংখ্য মানুষের দুর্ভোগ।
চটগ্রামের আরাকান সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে।
চট্টগ্রামের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান একটি সড়ক। সাথে আবার কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া কিংবা রাঙামাটি যেতে ও কিন্তু এই সড়কটিই প্রধান সড়ক বলা যায়। একসময় যখন চট্টগ্রামে শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) টি চালু হয়নি,তখন এই সড়ক্টিই ছিল কক্সবাজার যাওয়ার প্রধান সড়ক। পুরাতন ককর্ণফুলী সেতু কিংবা কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার যাওয়া হত।
যাক, সে কথায় ননা যাই। আরাকান সড়কের কথাই আসি।
প্রতিদিন ই সারা রাত ধরে এই সড়ক্টি তে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। অর্থাৎ,চট্টগ্রাম এর খুবই ব্যস্ততম সড়ক বলা যায়।
কিন্তু, এই সড়ক টি তে যাতায়াতকারী মানুষদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
কেননা, সড়কটির দু’টি লেন থাকা সত্বেও চট্টগ্রাম ওয়াসার কিছু উন্নয়ন প্রকল্পকাজের জন্য সড়ক্টির একটি লেন সম্পূর্ণ রকম বন্ধ। বাকি একটি লেন দিয়ে যান চলাচল করছে গত প্রায় একবছর ধরে। যাক মাঝের দিক্টায় সড়ক্টির যে এক লেন দিয়ে যান চলাচল করত তা ছিল ভাঙ্গা। কিন্তু, প্রশাসনের উদ্যাগে তা ঠিক করা হয়।
কিন্তু, বর্তমানে সড়ক্টির প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে অবৈধ গাড়ি পার্কিং।
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রায়ই বিভিন্ন গণ পরিবহ্নের রাস্তার পাশে এভাবে অবৈধভাবে পার্কিং এর কারণে যানযট লেগেই থাকে। আর এর শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষদের। আর একারণে ঘন্টার পর ঘন্টা এই যানযটে আটকে থাকতে অসংখ্য যানবাহন কে। তবে এই পার্কিং সমস্যা দিনের থেকেও রাতে বেশী চোখে পড়ে। যেখানে এই গাড়ি পার্কিং এর জন্য এত বিশাল টার্মিনাল পড়ে আছে,সেখানে টার্মিনাল ফেলে রাস্তার পাশে পার্কিং!
যা জন দুর্ভোগ এর জন্য একাই যথেষ্ট।
চট্টগ্রামের বহর্দারহাট এলাকা থেকে শুরু করলে দেখা যাবে একের পর এক শুধু অবৈধ গাড়ি পার্কিং।
যার ফলশ্রতিতে অন্যান্য গ্ণপরিবহন যাওয়ার জন্য সড়কের বাকি অংশ টুকু সংকুচিত হয়ে পড়ে।আর যেহেতু ওয়াসার কাজের জন্য সড়কের একটি লেন বন্ধ রয়েছ,তাই সব যানবাহন ই চলছে অপর একটি লেন দিয়ে। আর এই অবৈধ গাড়ি পার্কিং এর এই সমস্যা টা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন ই যার বেগ পেতে হয় সাধারণ মানুষদের।
প্রতিদিন ই ঘন্টার পর ঘন্টা সাধারণ মানুষ্কে এই যানযটে আটকে থাকতে হয়।