দুই বছরেরও বেশি সময় রহস্যজনকভাবে অন্তরালে ছিলেন সৌদি যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের (যিনি এমবিওস নামেও পরিচিত) মা। তবে যুবরাজ নিজেই তাঁর মাকে লুকিয়ে রেখেছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসিকে জানিয়েছে বেশ কিছু সূত্র। এরই মধ্যে মায়ের এই রহস্যজনকভাবে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার নানা রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। চিকিৎসার জন্য তাঁর মা দেশের বাইরে ছিলেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, গত সোমবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২০ মার্চ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুবরাজের সঙ্গে দেখা করতে সৌদি আরব যাবেন। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে এবং অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে আরো আগ্রগতি আনতেই এই সাক্ষাতে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এনবিসিকে জানান, যে তাঁরা বিশ্বাস করেন ক্ষমতা দখলে যুবরাজের পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন এবং বাদশাহ সালমানকে এ জন্য প্রভাবিত করতে পারেন তাঁর মা, এমন আশঙ্কা করেছিলেন যুবরাজ। তাই তিনি রাজপরিবার থেকে মাকে দূরে রেখেছিলেন।
গত বছরের জুনে নিজের চাচাতো ভাইকে রাজ্যের যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দিলে আলোচনায় আসেন ৩১ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন সালমান। এর পরই তিনি দুর্নীতি দমনের নামে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারে ভূমিকা পালন করেন। এমনকি দেশটির শীর্ষ ধনী আলওয়ালিদ বিন তালালকেও গত নভেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়। অর্থমন্ত্রী ইব্রাহীম আল আসসাফকেও আটক করা হয়।