শাকিলুর রহমান, মাগুরা
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীর এলাংখালী ঘাটে ব্রীজের নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। চলমান ব্রীজের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হলে গ্রান্ড ট্রাংক রোড সচলসহ যশোর, নড়াইল, মাগুরা, মহম্মদপুর – ঢাকার সহিত সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে দুরত্ব কমসহ অর্থ সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর ও ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলাবাসীর যোগাযোগ ও আর্থ- সামাজিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হবে। মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার সূত্র, ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর মধুমতি নদীতে ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর ভিত্তিপস্তর স্থাপন করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্তী ড. শ্রী বীরেন শিকদার। ব্রীজটির বাস্তবায়নে রয়েছে এল জি ই ডি মাগুরা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্ম রেনকিন। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক শ্রমিক ও প্রকৌশলী সিফট অনুযায়ী অনেক পরিশ্রম করছে মধুমতির শেখ হাসিনা সেতুর নির্মাণ কাজে।
মধুমতি দুই পাশে রয়েছেন সেতু নির্মানের অসংখ্য ভারি যন্ত্রপাতি। সেতুর নির্মান কাজ দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় করছেন অসংখ্য শিশু ও বড় মানুষ। সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুর রহমান চ্যানেল আগামীকে বলেন, সেতুটি কাজ শেষ হলে উৎপাদিত পণ্য স্বল্পসময়ে কম খরচে বোয়ালমারী নিতে পারব। তা ছারা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার হবে। আমাদের দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। ঢাকা যেতে হলে আগে মাগুরা বা মধুখালী যাওয়া লাকত ব্রীজটা হলে মহম্মদপুর থেকে যাওয়া যাবে কম খরচে স্বল্পসময়ে। মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহা. রবিউল ইসলাম চ্যানেল আগামীকে জানান, মধুমতির উপর সেতু নির্মান শেষ হলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। এই সেতু ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। ব্রীজের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৪৮টি গার্ডারের কাজ শেষ। সর্বমোট পাইলের সংখ্যা ১৫০টি। সর্বমোট স্প্যানের সংখ্যা ১৫টি। আমরা আসা করছি আগামী জুনের মধ্যে শেখ হাসিনা সেতুর শত ভাগ কাজ সম্পন্ন হবে। মহম্মদপুর উপজেলার ব্রীজটি কাজ শেষ হলে সুফল পাতে শুরু করবে। মহম্মদপুর উপজেলা এক সময় পগেট উপজেলা হিসাবে বিবেচিত ছিল সেটা এখন উন্নত উপজেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।