জাহিদুল ইসলাম
বর্তমানে সরকারি চাকুরী হল “সোনার হরিণ”। আর এই সোনার হরিণ সবাই পেতে চায় এটা স্বাধীনতার অধিকার। বর্তমানে এই বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। আসলেই কি ১২ বছর সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের জন্য পায়? না। একজন ছাত্রের বিভিন্ন কারনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ২৮ বছর। তাহলে ৩০ এর কোটা দিয়ে কেন স্বাধীনতা হরণ করা হবে?
→ বিভিন্ন কৌটা প্রথা,রাজনৈতিক অস্থিরতা,সেশনজট প্রভৃতি কারনে আজ সাধারণ কৌটার ছাত্ররা বিসিএস সহ ছোট-বড় সব চাকরি থেকে ঝরে পড়ছে। উন্নত বিশ্বগুলো যেখানে তাদের মেধাবীদের কাজে লাগাচ্ছে সেখানে আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো?
→ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ডিজিটাল দেশ গঠনে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ প্রণীত ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো অত্যাবশ্যকীয়।
→ এছাড়া যুবনীতি-২০১৭তে ও যুবকদের বয়স ১৮-৩৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এটা এখন সময়ে দাবি যে,চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ করা হোক।
→ আমি জাহিদুল ইসলাম,এস.এস.সি.(নিয়মিত)২০০৪ সালে,এইচ.এস.সি.(নিয়মিত)২০০৬ সালে,বি.কম.২০১২ সালে(নিয়মিত),২০১৫ সালের শেষদিকে এম.বি.এস(নিয়মিত) শেষ করি। শিক্ষাজীবন শেষ করতে ২৭ টি বসন্ত পার করতে হয়েছে। আমি আমার ব্যক্তিগত তথ্য দিলাম বাস্তব চিত্রটা সবার সামনে তুলে ধরার জন্য।
→ লেখাটি কোন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট পাঠানোর অনুরোধ রইল।