হাসান ইনাম
সাব এডিটর, চ্যানেল আগামী
‘আগামীতে আমরা ‘ এই বাক্যটা শুধু বাক্যই না। এটা একটা শক্তি। অনুপ্রেরণা। ‘আমরা’ শব্দটার শক্তি কতটা দৃঢ় সেটা জানানোর জন্যেই আজকের আয়োজন। কত কত প্রতিভা এখানে একত্র হয়েছে সেটা অনেকেই জানে না। কথা না বাড়িয়ে আগামীর পথচলার সাথে যারা সারথি হয়েছে তাদের একাংশের পরিচয় তুলে ধরছি নিচে-
মুসাররাত আবির জাহিন

জাহিনের প্রতিভা নিয়ে জানতে হলে এক্সট্রা কয়েকদিন পড়াশোনা তো করাই লাগবে আপনার। আঁকাআঁকি আর লেখালেখি যে এক জিনিস নয় সেটা সবাই জানে। তবে এই দুটোকে একই ছন্দে বেঁধে ফেলেছে সে। তুলি আর কলমে প্রতিনিয়ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে যাচ্ছে জাহিন। জাহিনের করা ড্যুডল দেখলে আপনি নিজের অনিচ্ছাতেই বলতে বাধ্য হবেন ‘আরিব্বাহ.. জোশ তো!’। আর জাহিনের লেখা পড়ে তো আরও বিস্মিত হবেন আপনি। পাঠককে ধরে রাখবার অনন্য যোগ্যতা আছে ওর গদ্যে। বিস্ময়ের মাত্রা ছাড়িয়ে চোখ কপালে তুলবেন যখন দেখবেন এই মেয়েটা সবে দশম শ্রেণীতে পড়ে। জাহিন দশম শ্রেণীতে পড়ে ভিকারুননিসাতে। জাহিন আমাদের। জাহিন আগামীর। চলুন পড়ে আসি জাহিনের এই ফিচারটি –
সময় কাটানোর ৮টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
ইশতিয়াক আহম্মেদ

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে ইশতিয়াক আহম্মেদ। আগামীর পথচলার গল্পে ইশতিয়াক একটি জীবন্ত চরিত্র। টুকটাক ফিচার লিখে আগামীর সাথে যাত্রা চলা শুরু হলেও নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখে ইশতিয়াক এখন সাব এডিটর। অনুসন্ধানী মেজাজ আর ঝরঝরে গদ্য ইশতিয়াকের লেখাতে আলাদা টার্ন ক্রিয়েট করে।
ইশতিয়াকের এই ফিচারটি একটু দেখলেই অনুমান করতে পারবেন আমার কথার যথার্থতা..
পেন্সিলের আদিকথা
সালমান সাদ

‘গল্পিতা’। এ আবার কেমন জিনিস ভাই? গল্পিতা সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই আগামীতে ঢুঁ মারতে হবে। কারণ, সালমান সাদই একমাত্র গল্পিতা লেখে। আর সেটা শুধুমাত্র আগামীর জন্যই। জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের ছাত্র। বয়সের তুলনায় লেখালেখি আরো তরুণ। তবে এমন রাজসিক সূচনা দেখে সহজেই অনুমান করা যায় খুব দ্রুতই সে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করে নিবে। তখন আমরা বলতে পারবো সালমান আমাদের তৈরি। কথা না বাড়িয়ে চলুন পড়ে আসি সালমান সাদের ‘গল্পিতা‘
আরিফা সুলতানা রিমি

মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রিমি। প্রিয় তারকাদের সাথে ছবি বা অটোগ্রাফ নেওয়ার শখ সবসময়। অথচ মেয়েটা জানেই না যে সামনে এমন একদিন আসছে যেদিন তাকেই দিয়ে বেড়াতে অটোগ্রাফ। সামলাতে হবে ভক্তদের ঢল। রিমি ইচ্ছা করলেই পারবে এমনটা। ওর প্রতিভা আছে। রিমি আগামীর জন্য বা আগামী রিমির জন্য। নজরুলকে নিয়ে এই লেখাটা রিমির –
২৫ শে মের গল্প
সাবা সিদ্দিকা সুপ্ত

আমি আপনার সাথে বাজি ধরে বলতে পারি আপনি সুপ্তের লেখা পড়ে চমকে যাবেন। কিছুক্ষণের জন্য হলেও থমকে যাবেন আপনি। মাত্র ষোল বছরের এই মেয়েটির ফিচার আর গল্প পড়ে আপনি দ্বিতীয় বার জন্ম নিতে চাইবেন কিশোর হিসেবে। সুপ্ত কাজ করে আগামির ফিচার ডেস্কে। গদ্যে টান টান উত্তেজনা আর নিজস্ব চিন্তার সুপ্ত প্রয়োগ। এই হলো সাবা সিদ্দিকা সুপ্তের লিখনির পরিচয়। গল্প লেখাতেও কিন্তু হাত পাকিয়েছে সে। বহুমুখী প্রতিভাধর এই মেয়েটি কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ে। সুপ্তের লেখা পড়ার আমন্ত্রণ আপনাকে। পড়ে দেখুন, সময় বিফলে যাবে না আশারাখি।
সাবা সিদ্দিকা সুপ্ত এর গল্প “অন্ধাস্তিত্ব”
বিকলাঙ্গ মানবিকতা
ফারহানা ইসলাম
ফারহানাকে নিয়ে কিছু বললেও আপনারা বুঝবেন না। মাথার উপর দিয়ে যাবে। শরতের আকাশে আমরা কি দেখি? বলবেন এ আবার কেমন প্রশ্ন!! আকাশ তো আকাশই, চাঁদ / তারা ছাড়া কি আছে আর? এই প্রশ্নটাই ফারাহানাকে করেন। সে উত্তরে বলবে ‘ পঙ্খিরাজ ঘোড়া পেগাসাস’। এই হলো ফারহানা; আগামীর ফারহানা। এমন প্রতিভাধর সদস্যদের নিয়েই আমাদের আগামী। ফারহানা রামগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এই লেখাগুলো ফারহানার। শিউরে উঠবেন। কারণ এই তথ্যগুচ্ছ আপনি জানতেন না আগে।
সামুদ্রিক যত অজানা আশ্চর্য ভান্ডার
যে ঔষুধ সেবনে মনে পড়ে জন্মের সময়ের কথা
মালিহা আক্তার

ছড়া! ছড়া!! ছড়া!!!
মালিহার সাথে ছড়া অবিচ্ছেদ্য। ভিকারুননিসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মালিহা। শব্দের পিঠে শব্দ বুনন করে উঠতে চায় সফলতার শিখরে। সেই দিন খুব দূরে নয় যেদিন ছড়াকার মালিহার অটোগ্রাফ নিতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে। উফ্, আমার ধৈর্য্য আর কথা শুনছে না। মালিহার ছড়া শুনিয়েই দেই আপনাদের
“ঝাড়ু দিয়ে করি মোরা
ঘর ঝাটাই
এটা দিয়ে মাঝে মাঝে
মানুষও পেটাই!
সে কথা থাক বাবা!
ঝাড়ু দরকারি
দিনরাত এটা দিয়ে
ঘর পরিষ্কার করি।”
এই ছড়াটাও মালিহারঃ
মালিহা আক্তারের “ইচ্ছা”
ফিদা আল মুগনি

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুগনি। আগামীর একনিষ্ঠ সেবক। নিজের পরিশ্রম আর প্রতিভার কল্যাণে মুগনি এখন সাব এডিটরদের একজন। সাহিত্য নিয়ে ধ্যান আর জ্ঞান ফিদার। ফিদা নিজের ভিতর নিজেকে লালন করে। নিজস্ব চিন্তার পরিস্ফুটন হিসেবে জন্ম দেয় প্রতিটি অক্ষরের। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটের সাথে তাল মিলিয়ে লিখতে পারে অনিন্দ্য সব গল্প। এই লেখাটি পড়েই দেখুন না। ফিদাই আগামী।
দুটি ছোট্ট সংবাদ আর (চলবে)
সাবিত রেজা

গবর্মেন্ট ল্যাবরেটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র। খেলাধুলা নিয়ে কাজ। আপনাদের মাঠের খবর বিছানাতে বসে নেওয়ার সুযোগ যারা করে দেয়, তাদের মধ্যে আমাদের সাবিত অন্যতম। ক্রীড়া বিশ্লেষণী গদ্য আর মার মার কাট কাট উত্তেজক গদ্য সাবিতের। আগামীর হাত ধরেই সাবিত একদিন দেশের সবথেকে বড় ক্রীড়া বিশ্লেষক হয়ে উঠবে। এই আমাদের বিশ্বাস।
ওহ … আরেকটা কথা। সাবিত কিন্তু আগামীর সাব এডিটরদের একজন। বুঝতেই পারছেন কতটা পরিশ্রমী ছেলেটা। এই রিপোর্টটি সাবিতের…
আইপিএল এ ইউরোপিয়ান ছোয়া
সুবহা বিনতে মতিন

শিক্ষা, খেলাধুলা ও সাহিত্য বিভাগে কাজ করছে আগামীতে। সুবহা আমাদের পুরনো সদস্য। টিকে আছে আগামীর সাথে লড়াইয়ে। সুবহা চিন্তা করে দেশকে নিয়ে। ওর গল্পে ফুটে ওঠে নতুন নতুন চিত্র। পরিণত গল্পকারের মতোই চিত্রিত করে গল্পের ক্যানভাস। সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুবহা। লেখাটা সুবহার..
অজানা ক্যানভাস
ফাতিহা অরমিন নাসের

ফাতিহা অরমিন নাসের যেন আক্ষরিক অর্থেই জ্বলন্ত প্রতিভা। ডিবেটে প্রতিপক্ষের মুখে মুখে দাঁত ভেঙে দেয়ার মতো জবাব দেয় সে। আর লেখা যেন ভিন্ন মাত্রার। আন্তর্জাতিক বিভাগ নিয়ে দারুণ আগ্রহ ফাতিহার। প্রতিটি লেখায় ঠিকরে পরে আগুনের ফুলকি। একবার নজর বুলিয়ে দেখুন না ফাতিহার চ্যানেল আগামীতে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সমালোচনা গুলোতে।….
রোহিঙ্গা ইস্যু, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর বাংলাদেশ