সৈকত হাসান
–
আমরা ঠিক কিসের পিছু ছুটছি? আমাদের গন্তব্য কোথায় পৃথিবীতে? তার উত্তর আসলে আমরা কেউ ই জানিনা। আমরা জানি আমাদের বড় হতে হবে পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ার মত। পড়তে হবে অনেক, শিখতে হবে, শিখাতে হবে। কিন্তু উপভোগ করা আমরা শিখিনা, আমরা অনুধাবন করতে জানিনা। আমরা চোখ মেলে তাকাই না আমাদের চারপাশটা, ব্যস্ততা আমাদের প্রকৃতির রুপ দেখার সময়টা কেরে নেয়। আমরা সবসময় অন্যের সাথে নিজেন তুলনা করে নিজেকে ছোট করি। ‘তার মত হতে হবে’ প্রতিজ্ঞা নিয়ে বেড়ে উঠি, অজান্তেই গলা টিপে হত্যা করি একটা প্রতিভা। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ স্রষ্টা প্রদত্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, আমরা ‘অমুক তমুক’ হতে গিয়ে সেই প্রতিভাটা নষ্ট করি নিজের হাতেই। একটা মানুষের সবচেয়ে বেশি শেখার উপলক্ষ হচ্ছে প্রকৃতি, অথচ প্রকৃতিকে উপভোগ করার সময় আমরা পাইনা! জীবনটা আসলে একটা খেলা। এই খেলায় মজে গিয়ে ভুলে গেছি প্রকৃতিকে, কেউ কেউ পৃথিবীর এই জটিলতার সাথে পেরে উঠতে না পেরে নিয়ে নেয় জীবনের সবচেয়ে অশুভ সিদ্ধান্তটি, আত্মহত্যা! কেউ কেউ পরিণত হচ্ছে বিকৃত মস্তিষ্কে। শুধুমাত্র ছোট্ট একটা ভুলের কারনে, গাছকে চিনতে না পারার কারনে, ফুলকে ভালোবাসতে শিখিনাই বলে, প্রকৃতিকে আপন চোখে দেখতে পারিনাই বলে, পাখিদের গান বুঝতে পারিনা বলে, নদীর কলকল ধ্বনি অনুধাবন করতে পারিনা বলে। হায়, এই প্রকৃতির বিশালতায় যে মাইকেল মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ রা বেড়ে উঠেছে তা ভাবিনি এক পশলাও, মানুষ প্রকৃতি থেকে যা শিখে তা অমৃত। অথচ প্রকৃতিকে দেখা, চেনা, অনুধাবন করার সময় আমাদের হয়না!