-তাকী তাহমিদ
ঘুম থেকে উঠেই যখন পড়ো, পড়ো,পড়ো থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পড়ো পড়ো পড়ো শুনে ঘুমাতে যেতে হয় তখন আর মনে হয়না নিজের ইচ্ছা গুলো নিয়ে কিছু করতে পারবো। কারণ আমরা শুধু এই পড়া নামক গন্ডির ভিতরে থেকেই জীবন অতিবাহিত করি। নিজেরও যে কিছু করার ইচ্ছা ছিল তা ভুলেই যাই।
কারণ আমার ইচ্ছার বিপরীতে আরেকটা ইচ্ছা জেগে উঠে। যেই ইচ্ছাটা নিয়েই আমাকে এগুতে হয়। আর সে ইচ্ছাটাই হলো মা-বাবার ইচ্ছা। আমি যখন হতে চাই লেখক, ফটোগ্রাফার, ফিল্মমেকার কিংবা একজন খেলোয়ার তখন এই ইচ্ছা গুলো বাদ দিয়ে জোড় পূর্বক একটা নতুন ইচ্ছা জাগাতে হয়। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ল’য়ার, কিংবা ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য। যে করেই হোক মা-বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হবে। নইলে যেন এ সমাজে স্থানই নেই।
হ্যাঁ, ইচ্ছা আমারও থাকবে মা-বাবারও থাকবে। কিন্তু আমার কি ইচ্ছা সেটা মা-বাবার জানতে হবে। সবাই যদি ইঞ্জিনিয়ার বা ল’য়ার হয়, বাকি গুলা হবে কারা।
আসলে এখানে দোষ কারো না। মূলত সমাজ যেখানে তৈরী হয়ে আছে মা-বাবার ইচ্ছা পূরণে, সেখানে নিজের ইচ্ছাটা বোধ হয় স্বপ্নই রয়ে যাবে।
দু নৌকায় পা দিয়ে কিন্তু কখোনই সামনে এগুনো যায়না, তেমনই নিজের ইচ্ছা আবার মা-বাবার ইচ্ছা দুটো কখনই সম্ভব নয়। দুটো ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই সবশেষে ফলাফল এসে দাঁড়ায় শূণ্য। আর তখন দোষটা নিতে হয় নিজের কাধেই। হয়ে উঠতে হয় বেকার যুবক নামে।
তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে নিজের ইচ্ছাকে, নিজের ভালো লাগাকে।
আর দুটোকেই গুরুত্ব দেওয়া মানেই দু নৌকায় পা দিয়ে কিছুদূর গিয়ে থেমে যাওয়া। অর্থাৎ ব্যর্থ হওয়া।