ইশতিয়াক আহমেদ
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক
যাত্রীদের দীর্ঘ যাত্রাপথে স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, স্যাটেলাইটের সাহায্যে উড়োজাহাজে ওয়াই-ফাই সেবা চালু করেছে। এজন্য বোয়িং-৭৪৭ এয়ারক্রাফটে যু্ক্ত করা হয়েছে প্যানাসনিক এডিওনিকসের কুব্যান্ড স্যাটেলাইট প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আকাশপথের যাত্রীরা তাদের ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) জানায়, আকাশপথের যাত্রীরা এখন খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এখন উড়োজাহাজে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ারর লাইসেন্স নিতে অপারেটরদের আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম সময় লাগবে। এর ফলে অপারেটরা উড়োজাহাজে ইন্টারনেট সেবা দিতে আরো আগ্রহী হবে।

যুক্তরাষ্ট্র আকাশপথে ইন্টারনেট সুবিধা দিচ্ছে ২০০১ সাল থেকে। সেসময় এফসিসি অ্যাডহক ভিত্তিতে দেশের অভ্যন্তরে ফ্লাইটগুলোর ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলো। এজন্য একটি স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা উড়োজাহাজের বাইরে যুক্ত করে রাখা হতো। এফসিসি জানিয়েছে, নতুন নিয়মের কারণে উড়োজাহাজে ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স নেওয়ার পদ্ধতি অনেক সহজ হয়ে যাবে। তবে সংস্থাটি ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়গুলো সহজ করলেও আকাশপথে চলার সময় সেলফোন ব্যবহারেরর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেনি। এ বিষয়ে তারা জানিয়েছে, সেলফোন ব্যবহার করা হলে অনেক ধরণের সমস্যা হয়। এর আগে জেনাচুওস্কি এফএএ এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলো, উড়োজাহাজে আরো বেশি ইলেক্ট্রনিক পণ্য নিয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হোক।
এফএএ জানিয়েছিলো, উড়োজাহাজের নিরাপত্তা রক্ষা করে কিভাবে আরো বেশি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ বিমানে তোলা যায় এ বিষয়ে তারা কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন (এফএএ) আরো জানায়,নতুন নিয়মের মাধ্যমে উড়োজাহাজ ও ইন্টারনেট অপারেটর দুই পক্ষেরই স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।