ফারহানা ইসলাম
লায়ন্স ক্লাব
১৯৫১ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে এই ক্লাবের গোড়াপত্তন করা হয়। পরবর্তীতে তা ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করা হয়। বিশ্বব্যাপী তার অসংখ্য- অগণিত ব্রাঞ্চ আছে।
নেতৃস্থানীয়, ক্ষমতাসীন সরকার, নবাবও মান্যবর ব্যক্তিরা সাধাণতঃ এর সদস্য হয়।
বিনাই বার্থ ক্লাব
১৮৩৪ সালে এই ক্লাব প্রতিষ্টা হয়। ১৯০৩ সালে এই ক্লাবের শুধুমাত্র বার্লিনের একটি সেন্টারের প্রায় আশিটি শাখা ছিল। বর্তমানে এর হেডকোয়ার্টার আমেরিকায়। এই ক্লাব নারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং প্রায় এর সকল সদস্যই ইহুদী নারী। এই ক্লাবসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডঃ মুহাম্মদ আলী যু’বী প্রণীত ‘আল-মাসূনিয়াহ ফিল ‘আরা’ গ্রন্থটি অধ্যয়ন করতে অনুরোধ করছি।
শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্য
এই ধর্মদ্বেষী সংগঠনের গোড়াপত্তনে ছিল দুই পশ্চিমা ব্যক্তি। একজন ইউরোপিয়ান- ‘আদীম ওয়েইস হাপ্ট অন্যজন আমেরিকান ‘আলবার্ট পাইক’ । এদের মধ্যে প্রথমোল্লিখিত ৮ এদের মধ্যে প্রথমজন ১৭৪৮ সালে জার্মানীতে জন্মগ্রহণ করে। খিস্টধর্মে পান্ডিত্য লাভ করে ধর্মীয় অদ্বিতীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়। এই পরমোন্নতির পর এমন রসাতলে যায় যে- ধর্মবিদ্বেষী হয়ে আস্তিকতাকে বিসর্জন দেয়। ১৭৭০ সালে ইহুদীদের সঙ্গে হাত মিলায়। তাদের শিল্পচাতুর্য ও কুটবুদ্ধিকে সম্বল হিসেবে গ্রহণ করে। তাদের সহায়তায় ‘পরমাগ্রহের মিলন’ নামে ফ্রীম্যাসনের একটি অঙ্গঁসংগঠনের বুনিয়াদ রাখে। তারপর বিশ্বব্যাপী বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে গঠিত ‘বৈশ্বিক সরকার’ প্রতিষ্টার শ্লোগান উত্তোলন করে। এই সুন্দর শ্লোগানে অনেক বড় মাপের সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদরা আবিষ্ট হয়ে পড়েন। যে সংস্কারধর্মী শ্লোগান সে উত্তোলন করেছিল, তা ছিল বাহ্যিক মোহনীয়। বস্তুত এই সংস্কারের অন্তরালে ছিল বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও ভূপৃষ্টের
যাবতীয় ধর্ম-মতবাদকে জ্যান্ত কবর দেওয়া।