ফারহানা ইসলাম
ফ্রীম্যাসন’ নামের ব্যবহার
এই আন্দোলনের শেঁকড় সন্ধানী ডঃ মুহাম্মদ আলী যুবার গবেষণা হল- সূচনায় তারা ‘গোপন শক্তি’ ও এধরনের সমার্থ নাম দিয়ে তাদের কর্মসূচী অব্যাহত রাখে। অতঃপর ১৭১৭ সালে লন্ডন কনফারেন্সে ‘ফ্রীম্যাসন’ নামটি নিবার্চিত করে। এই কনফারেন্সের সভাপতি ছিলো স্কটিশ বংশোদ্ভূত ‘জেমস অ্যান্ডারসন’ (১৬৮০-১৭৩৯ ইং) । সেই সর্বপ্রথম সে ‘ সেই সর্বপ্রথম নিয়মবিধি’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ প্রণয়ণ করে, যা ম্যাসন্ত্রীদের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ। ১৭২৩ সালে এটি লন্ডন থেকে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়।
আবার কোন কোন রহস্য সন্ধানী গবেষক বলেন- ‘ফ্রীম্যাসন’ নামটি ‘কোড ফ্রাইডি বোয়ালের’ (CODE FORIDE BOUILLAR) (১০৬১-১১০০ ইং ) ব্যবহার করে। যাকে ক্রুসেডাররা প্রথম ক্রসেড যুদ্ধের পর বায়তুল মুকাদ্দাসের রাজা মনোনয়ন করে।
অন্যান্য নাম
জার্মানীতে তারা ‘ফ্রীম্যাসন’ নামের আড়ালে তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। হিটলার যখন অবগত হলেন- এরা ইহুদীদের ছায়াশ্রিত, তখন জার্মানীতে তাদের সমস্ত অফিস-দপ্তর বন্ধ করে দেন। তারা তখন খোলস পাল্টিয়ে ‘জার্মান হাউস ক্লাব’ নাম গ্রহণ করে। অতঃপর যখন তাদের বোধগম্য হল- এই রূপটিও সচেতন মানবের নিকট দুর্বোধ্য নয়, তখন সংগঠনের নাম নবায়ন করে ‘রোটারী ক্লাব’ নামে রূপায়ন করল। পর্যায়ক্রমে তারা চাতুর্যতার আশ্রয় নিয়ে ‘লায়ন্স ক্লাব’ ‘বিনাই বার্থ’ ইত্যাদি নাম গ্রহণ করে।
রোটারী ক্লাব
১৯০৫ সালে পল. পি হ্যারিস আমেরিকার শিকাগো শহরে এই ক্লাবের গোড়াপত্তন করে। ধীরে ধীরে বিশ্বের আনাচে-কানাচে এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পড়ে। ‘ইন্টারন্যাশনাল রোটারী ক্লাব’ নামে তারা সন্নিবদ্ধ। ক্লাবের হেড কোয়ার্টার আমেরিকার ‘এফাভেস্টেনে’। এলাকার গন্যমান্য সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণতঃ এর সদস্য হয়। এলাকার গণ্যমান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এর সদস্য হয়। ক্লাবের শ্রীবৃদ্ধির জন্য বিদ্বানরাও থাকে, যারা অজ্ঞাতে এর জালে ফেঁসে যায়। (রচয়িতা বলেন-) আমার ছাত্রজীবনে রোটারী ক্লাবের লায়লপুর শাখা (বর্তমানে ফয়সালাবাদ) শহরের মান্যবর ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে একটি দাওয়াতের আয়োজন করে। এতে শহরের কিছু উলামায়ে কেরাম আহুত ছিলেন এবং তারা শরীকও হন। তারা যদি সজ্ঞানে হাজির হন, তারপরও ক্লাবকে অলংকৃত করার জন্য যথেষ্ট। যার আড়ালে তাদেরই জন্য এমন বিষাক্ত কর্মসূচী করা হচ্ছে যার বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসছে।