-ফাতিহা অরমিন নাসের
-বর্তমানের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানত দুটি মতভেদ দেখা গেলেও যে বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হলো, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা। প্রথমেই যদি বাংলাদেশের অবস্থানটা দেখে নেয়া যায়, তাহলে এই ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
প্রথমত, বাংলাদেশের নিকটতম দুই প্রতিবেশী হলো মায়ানমার ও ভারত। আমাদের তিনদিকে ভারত ও আরেকদিকে মায়ানমার ঘিরে রাখায় এই যৌথ শক্তির কাছে আমরা একেবারেই কোণঠাসা ; যেখানে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত ভারতের কাছে মজুদ রয়েছে পারমানবিক অস্ত্র।
ইতোমধ্যেই ভারত ও মায়ানমারের সুসম্পর্ক নজর কেড়েছে সকলেরই। আর সেই সাথে, ভারতের পরোক্ষ বন্ধু হিসেবে আমেরিকা তো রয়েছেই, যারা কিনা এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে হাতে রাখবার জন্য খুশি করে চলেছে চীনের বন্ধুদেশ ভারতকে। যদি এই তিন পরাশক্তি একত্রিত হয়ে আক্রমণ করে বাংলাদেশকে, তবে ১,৬৫০,৫৭০ বর্গকিলোমিটারের এই ছোট্ট দেশটির হাল যে সিরিয়ার চেয়েও ভয়াবহ হবে, তা বলে দেয়া যায় চোখ বন্ধ করেই।
এ কারণেই মিয়ানমারের বিমান বাংলার আকাশসীমা ১৭ বারেরও বেশি অতিক্রম করলেও টুঁ শব্দটি করতে পারছেনা সরকার, চুপচাপ নিজেদের বাড়তি জনসংখ্যার ওপরেও গ্রহণ করে নিতে হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। কিন্তু আর কতদিন ? নিজেদের জনগণকেই যেখানে খাদ্য আর শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় অধিকার যোগাতে ব্যর্থ সরকার, সেখানে এই বাড়তি মানুষকে এতগুলো দিন কোথায়, কিভাবে পেলেপুষে জামাই আদরে রাখার কথা চিন্তা করাও এক দিবাস্বপ্নই বটে।
তবে, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরই দিন গুণছে বাংলাদেশ ?
-ফাতিহা অরমিন নাসের
-মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়