তানভীর ইবনে কবির
পরিসংখ্যা বলছে এবছরের বন্যা গত ২০০ বছরের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে নদী অঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘড় বাড়ি। বন্যাদুর্গতরা গৃহহীন হয়ে জীবন যাপন করছে। বন্যার্তরা না পাচ্ছে একবেলার খাবার, না পাচ্ছে পরিধেয় পোশাক। ঠিক এই সময় কিছু মানুষ, কিছু সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা সাহায্যের নামে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কারিদের মাঝে একটা বিষয় খুব ভালো ভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটা হলো এদের অধিকাংশরাই প্রকৃত সাহায্যের জন্য বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এরা মূলত লোক দেখানোর জন্য, নিজেকে সমাজে বড় করে তুলেধড়ার জন্যই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
বন্যার্ত দের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় এই সব নামমাত্র সাহায্যকারীরা প্রথমেই ছবি তুলছে। এর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমে বোল্ড অক্ষরে লিখে প্রকাশ করছে, “অমুক নেতা, অমুক সংগঠন, বন্যাদুর্গত দের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন করল”। যখন বন্যার্তরা খাবার পাচ্ছে না, তখন এই নামধারী সাহায্যকারীরা ত্রাণসামগ্রী বিতরণের নামে ছবি তোলা নিয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে পরছে। এটাই কি প্রকৃত সাহায্যের নামুনা? আমাদের বর্তমান সমাজে এই ধরনের সহযোগীতা মূলক কাজে অধিকাংশ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সাহায্যের নামে নিজেদের প্রচার প্রচারণা, নিজেদের পরিচয়-পরিচিতি, সমাজের মাঝে নিজেদের তুলে ধরা ও নাম কামানোর জন্যই অংশগ্রহণ করে থাকে। এটা আমাদের জন্য অনেক অপমানের বিষয়, অনেক লজ্জার বিষয়। দেশ ও জাতির দুর্দিনেও এই শ্রেণীর মানুষেরা নিজেদের সার্থ হাছিলের জন্যই দেশের পাশে এসে দাঁড়াবে। এরা স্বার্থপর নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যেই এরা এসব করে থাকে। প্রকৃত অর্থে অসহায়দের জন্য এরা কিছু করে না, যা করে তার সব কিছু নিজের জন্য।