ফারহানা ইসলাম
গ্রামাঞ্চলে কিছু মহিলা আছে।এনাদের জন্মগত কিছু সমস্যা আছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো সেধে সেধে ঘটকালি করা।এদের জীবনের লক্ষ্য এবং কাজ একটাই।পান খেয়ে লাল হওয়া ঠোটদ্বয় দিয়ে ভেটকি দিবে।আর শয়তানের মত কুতকুতে চোখদ্বয় দিয়ে কোথায় কার মেয়ে পনেরো তে পা দিছে,কার মেয়ে লম্বা,কার মেয়ের রং সাদা,কার মেয়ের ফিগার সুন্দর,কোন মাইয়ার বালখানা ও সুন্দর এগুলার খবর রাখবে।এবং অবশ্যই তলোয়ার ন্যায় তীক্ষ্ণ ধারালো স্মৃতিতে তা ধারণ করবে। তারপর সেসব মেয়েকুলের বিজ্ঞাপন প্রচার করবে।কার ছেলের জন্য পাত্রী দরকার গিয়ে মনে করে বিজ্ঞাপন দিয়ে আসবে।ব্যস শুরু হয়ে গেলো ঘটকালি! ভাবি আপনার মেয়ের বিয়ে দেবেন?আপা আপনার মেয়ের তো বিয়ের বয়েস পেরোচ্ছে!ছেলে আছে ভালো!বিদেশ থাকে।পয়সা কড়ি কামায় ভালোই!তিন গন্ডার উপরে বিল্ডিং আছে।জায়গা সম্পত্তি খারাপ না!সবচেয়ে বড় কথা বংশ খানদানি!ছেলেও দেখতে বাব্বাহ্ শাহরুখ খান(আসলে ডিপজল)! এখন সমস্যা হচ্ছে এনাদের সমস্যা কি?এটা কি কোনো চুলকানির ব্যারাম?কোনো অসুখ?কেন এমন করে? বিয়ে বলতে প্রচলিত সমাজে আসলে কি বুঝায়?? তবে আমি বুঝি— “বিয়ে কয়েকটি স্বত্তার মানসিক,শারিরীক,আর্থিক এববং সবব ধরণের প্রয়োজনীয়তা পূরণের বন্ধন ব্যবস্থা!”” এখন ১৫;১৬;;১৭ বছরে পা দেওয়া মেয়েগুলোর আদৌ কি এরকম কোনো প্রয়োজন থাকে? হ্যা মেয়েদের ম্যাচুরিটি আগে আসে!তো? তাতে কি? সবে বয়ঃসন্ধিকালে পা দেওয়া মেয়েটার কতটুকু প্রয়োজন বিয়ের?আর ওনারাও কেমন বাবা মা যারা নিজেদের মেয়েদের সবচেয়ে আপনজন হয়েও তার বয়সানুযায়ী প্রয়োজনীয়তা বুঝেন না? এত কথা লিখার কোনো কারন ছিলো না!চোখের সামনে একটার হুটহাট বিয়ে দিয়ে দিলো!অথচ আমার কিচ্ছু করার নাই! বয়স কম!ভার্চুয়াল ই ভরসা!বাস্তবে বলমু তো— “”মেয়ে তো তোমার শেয়ানা হয়ে গেছে,অতএব বিয়ে দিয়ে দাও।