আনিস মিয়া
স্থানটির নাম বঙ্গবন্ধু চত্তর , পিতলের তৈরী চকচকে সোনালী রং করা মুজিব নগর সরকারে ভারপ্রাপ্ত অস্থায়ী রাষ্টপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহাম্মদ, স্বারাষ্ট মন্ত্রী এইচ এম কামরুকজ্জামান, ও অর্থ মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ভাষ্কর্যের ঠিক মাঝখানে একটু বড় আদলে বসানো হয়েছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ভার্ষ্কয। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নির্মিত হচ্ছেছিলো দেশের অনন্য স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার নজর কাড়া ভাষ্কর্য। সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ডা. কাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপি’র নিজ উদ্যোগে সার্বিক পরিকল্পনা ও নিজস্ব অর্থায়নে যার নামক করণ করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু চত্তর। ভাষ্কর্যটির আয়তন প্রায় ৪শত বর্গফুট । প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভাষ্কর্যটি নির্মিত হচ্ছেছিলো । জানা য়ায ভাস্কর্যের রুপকার ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. কাপ্টেন (অব.)মজিবুর রহমান ফকির এমপি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত রাখতে এই ভাস্কর্যটি তৈরীতে চিন্তা চেতনায় অবিরাম শ্রম দিচ্ছেলেন তিন। ২০ ফুটের ৪ টি ও ৪ ফুটের ১০ টি কংক্রিটের পিলারের উপর বসানো হয়েছে সুদৃশ্য সোনালী বক্সের মাঝে ইলেকট্রিক লাইট। রাতে জরুরী বিদ্যুতের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সৌর বিদ্যুত প্ল্যান্ট। তাছাড়া এই ভাষ্কর্যের ডান পাশে রয়েছে পাথরে খোদাই করা মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ট ও বাম পাশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যৌথ ভাস্কর্য। মুল বেদীতে উঠার সিড়ি গুলোর কার্নিস পিতল পাত দিয়ে মুড়িয়ে বাাঁধানো হয়েছে সোনালী রংয়ের দামী টাইলস। ৪ ফুট কংক্রিটের পিলার করে তাতে কারুকাজ মন্ডিত ষ্টীলের গ্রীল দিয়ে তৈরী করা হয়েছে চার পাশের প্রাচীর। মুরালের সম্মুখের কংক্রিট মেঝে রঙিন লতা-পাতায় অংকিত করে মৃসন মোজাইক করা হয়েছে। দর্শনাথীদের যাতায়তের জন্য বাম পাশ ও ভাষ্কর্যের সম্মুখের প্রাচীরে রাখা হয়েছে স্টীলের নকশী করা দুটি টানা গ্রীল গেট। স্থানটির মুল গেইটের বাইরে স্মৃতি সৌধ সড়কে পাথরে খোদাই করে স্থাপন করা হচ্ছে গৌরীপুরের সাবেক এমপি মরহুম নজরুল ইসলাম সরকার, সাবেক এমসিএ মরহুম হাতেম আলী মিয়া, মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা খালেদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম ডা. আব্দুস সোবহান, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির এর ভাষ্কর্যও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গৌরীপুরে বেড়াতে আসা লোকজন এই ভাষ্কর্যটি দেখে, মুগ্ধ হন এই নিপুন কারুকাজে । স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধের মহানয়কদের নিয়ে তৈরী করা এ অনন্য স্থাপনার ভাষ্কর্যটি নি:সন্দেহে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।