পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। তবে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) অভিযোগ করেছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। লাহোরে পুলিশ ৩০ জনের বেশি পিটিআই নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
পিটিআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দলটি, কারণ পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করতে পারেনি নেতারা।
ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন। তিনি ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট থেকে কারাবন্দী এবং বিভিন্ন মামলায় বিচারাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাও রয়েছে।
লাহোর পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) ফয়সাল কামরান জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করায় ৩০ জনের বেশি পিটিআই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের সাবেক টুইটার অ্যাকাউন্টে অভিযোগ করা হয়, প্রবীণ নেতা রেহানা দারকে পুলিশের নির্লজ্জ টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
উত্তর পাঞ্জাবে পিটিআইয়ের যুব শাখার সভাপতি রাজা শাহবাজ ভাট্টি জানান, পুলিশ হামলায় তিনি আহত হয়েছেন এবং আরও চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাহাওয়ালপুর থেকে জানানো হয়েছে, বেলুচিস্তানের কোহলু জেলায় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে আসা একাধিক কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার জানান, পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরেও ধরপাকড় শুরু হয়েছে। পাঞ্জাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান শায়ান বাশির দাবি করেছেন, পুলিশ অন্তত ২০০টি অভিযান চালিয়েছে এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটক করেছে, পরে মুচলেকা নিয়ে ছাড়ানো হয়েছে।