আমার দেশ’-এর প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানালো আইএসপিআর – অপপ্রচারে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ
‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত “বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস” শীর্ষক প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ (৩ আগস্ট) আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়, ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা —
এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন,
এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ,
এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক,
গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক,
গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম,
উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ —
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার (ভারতের ‘র’ বা RAW) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এই অভিযোগগুলো সত্যনির্ভর নয় এবং বিমানবাহিনীর নিজস্ব তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চাকরির নির্ধারিত বয়সসীমা পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও প্রতিবেদনে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরির ক্ষেত্রেও একই ধরনের দাবি করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, তাদের অবসরও সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ও প্রচলিত বিধিমালার আওতায় বৈধভাবেই সম্পন্ন হয়েছে, যা এই ধরনের কোনো অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়,
“প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অপপ্রচারমূলক, যা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। একইসঙ্গে এটি দেশের জাতীয় স্থিতিশীলতা, সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে— যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।”
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে আইএসপিআর আরও জানায়,
“যেকোনো সামরিক সংক্রান্ত সংবাদ বা তথ্য যাচাইয়ের জন্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত হয়।