সাভারে জুলাই আন্দোলনে প্রাণ হারান কলেজছাত্রীসহ ৭১ জন, আহত হন হাজারো। এর মধ্যে ৫০০-এর বেশি মানুষ কর্মক্ষমতা হারান। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি তদন্ত, বিচারহীনতার গ্লানিতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিহতদের স্বজনরা।
গত বছরের ১৮ জুলাই মিরপুরের এমআইএসটির শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা এলাকা। আন্দোলনের শেষপ্রান্তে সাভার হয়ে ওঠে সহিংসতার কেন্দ্রস্থল। আশুলিয়ায় ৬ আন্দোলনকারীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।
সরকার পতনের দাবিতে চলা এই আন্দোলনে ৮১টি মামলা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে দেশ ত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া অভিযোগনামায় উঠে এসেছে সাংবাদিকদের উপরও হামলার তথ্য।
ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ এবং সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই থানার আওতায় থাকা মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১০৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের একমাত্র দাবি— দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরপেক্ষ বিচার।