ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি: আবার আগ্রাসন হলে ইসরায়েল পাবে ভয়াবহ জবাব
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। তেহরান জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি পুনরায় আগ্রাসনের পথ বেছে নেয়, তবে তাকে এর চেয়ে আরও ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভির বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আবদুলরাহিম মুসাভি বলেন, গত মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান তাদের সামরিক সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করেনি। তিনি জানান, “ইসরায়েল আগ্রাসনের মাধ্যমে একটি বড় পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে। যদি তারা একই ভুল আবার করে, তাহলে এবার ইরানি জাতি ও সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়বে।”
জেনারেল মুসাভি আরও বলেন, ইসরায়েল ও তার মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। পরমাণু ইস্যুকে সামনে এনে তারা ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা পুনর্গঠনের সময় পায়। তবে সংঘাত যদি নতুন মাত্রায় প্রবেশ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে দখলদাররা এমন জবাব পাবে যা তারা আগে কখনও দেখেনি।”
ইরান তাদের নীতিগত অবস্থান থেকে সরে আসবে না বলেও জানান মুসাভি। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে ইরান অটল থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে সরাসরি হামলা চালায়। ওই হামলায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হয়। তেহরান এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এই হামলার পাল্টা জবাবে ইরান ইসরায়েল অধিকৃত বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনায় এবং কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়।
পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিরতি ১২ ঘণ্টা চলবে, পরে সেটিকে চূড়ান্তভাবে কার্যকর করা হবে।
ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিত। কিন্তু তা হয়নি এবং হবেও না।