বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এটি মূলত একটি জেনেটিক ও অটোইমিউন রোগ—যেখানে শরীর ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। ইনসুলিনের অভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শিশুরা সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত পিপাসা, ওজন হ্রাস, ক্লান্তি ও ঘন ঘন সংক্রমণে ভোগে। অনেক ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো উপেক্ষিত হওয়ায় শিশু ডায়াবেটিক কোমাতেও চলে যেতে পারে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সমস্যাটি আরও গভীর। সচেতনতার অভাব, ইনসুলিন নিয়ে সামাজিক দ্বিধা, সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব এবং স্কুলে পর্যাপ্ত সহায়তার ঘাটতি ডায়াবেটিক শিশুদের প্রতিদিনের জীবনকে কঠিন করে তোলে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের স্থায়ী চিকিৎসা না থাকলেও সঠিক সময়ে ইনসুলিন গ্রহণ, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে একজন শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
বাবা-মা এবং শিক্ষকদের সচেতনতা, মানসিক সহায়তা এবং সহপাঠীদের ইতিবাচক মনোভাবই পারে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুদের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করে তুলতে।